৫০ হাজার টন চিনি আমদানি করবে সরকার

আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ হাজার টন চিনি আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি টন চিনি ৪৭০ ডলার হিসেবে সরকারের মোট ব্যয় হবে ২১১ কোটি ৩২ লাখ ৩৭ হাজার টাকা।

১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে শিল্পমন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন-অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ৫০ হাজার টন আমদানির জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব ক্রয় কমিটির বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। লন্ডন ভিত্তিক ইডি অ্যান্ড এফ এবং বাংলাদেশের রিয়া ইন্টারন্যাশনাল এই চিনি সরবরাহ করবে। চিনি আসবে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে।

এর আগে বাজার দর নিয়ন্ত্রণ ও ঘাটতি পূরণের জন্য বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনকে (বিএসএফআইসি) ১ লাখ টন চিনি আমদানির অনুমতি দেয়া হয়।

ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য বিএসএফআইসি সারসংক্ষেপে বলেছে, ৫০ হাজার টন চিনি আমদানির আন্তর্জাতিক দরপত্রে মোট ৪টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে যৌথভাবে লন্ডন ভিত্তিক ইডি অ্যান্ড এফ এবং রিয়া ইন্টারন্যাশনাল, ইউনাইটেড সুগার মিলস, সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ এবং গ্লোবোপিউ ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট লিমিটেড।

বিএসএফআইসির দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির বিবেচনায় ৪ প্রতিষ্ঠানই যোগ্য বা রেসপনসিভ দরদাতা হয়। এর মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা হয় লন্ডন ভিত্তিক ইডি অ্যান্ড এফ এবং রিয়া ইন্টারন্যাশনাল ।

শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার পর্যন্ত দেশে ৪২ হাজার টন চিনির মজুত রয়েছে বলে জানানো হয়। এই মজুতের মধ্যে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং আনসারদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে ২৩ হাজার ৫০০ টন। তখন প্রকৃত মজুত দাঁড়াবে ১৮ হাজার ৫০০ টন চিনি, যা বাজার নিয়ন্ত্রণসহ জরুরি প্রয়োজন মেটানোর জন্য যথেষ্ট নয়। বিধায় চিনি আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় শিল্প মন্ত্রণালয়।

চিনি আমদানিসহ মন্ত্রিসভা কমিটি একহাজার ৬৯ কোটি টাকায় ৫টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে।