চাঁদপুরে ছেলের মারধরে মায়ের মৃত্যু

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ছেলের মারধরে সালেহা বেগম নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর স্থানীয়রা ছেলে বাহার মিজিকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে।

সোমবার (২৩ জুলাই) দিবাগত রাতে উপজেলার পূর্ব ধানুয়া গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। নিহত সালেহা বেগম (৮০) ওই গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক মিজির স্ত্রী।

নিহতের স্বজন রাবেয়া বেগম জানান, বাহার একজন মানসিক রোগী। গত দু’তিন মাস আগেও সে ঢাকা দিশা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। বাহারের মাথায় সমস্যার কারণে সে প্রায়ই তার মাকে গালাগালি ও মারধর করতো।

তিনি জানান, গতকাল রাতে সালেহা বেগম ঘুমিয়ে ছিল। রাত আড়াইটার দিকে বাহার বাড়িতে গিয়ে মাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তার শিশু ছেলে মেহেদী কোথায় জানতে চায়। মা প্রতি উত্তরে মেহেদীকে মাদ্রাসায় দিয়ে আসা হয়েছে বলে জানায়। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে বাহার মাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে।

একপর্যায়ে সে সালেহার মাথা ধরে পাকা মেঝেতে ঠুকতে থাকেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্বজনরা উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়।

আজ মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে সালেহা বেগম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় বলে জানান রাবেয়া বেগম।

এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার উপপরির্দশ (এসআই) কাজী মো. জাকারিয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে গিয়ে লাশের সুরুতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠাই।’

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহআলম বলেন, ‘শুনেছি ছেলেটি মানসিক রোগী। তবে স্থানীয়দের সহায়তায় ছেলেকে আটক করা হয়েছে। এখনও কেউ মামলা করেনি। তদন্ত সাপেক্ষে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।’

আজকের বাজার/এমএইচ