আদালতে দ.কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট লী’র জামিন মঞ্জুর

দক্ষিণ কোরিয়ার সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রেসিডেন্ট লী মিউং-বেক’কে বুধবার জামিন দেয়া হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার প্রায় এক বছর পর তিনি জামিন পেলেন।

সিইও থেকে দেশের প্রেসিডেন্ট হওয়া এ নেতা ঘুষ গ্রহণ ও আর্থিক জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় গত অক্টোবরে তাকে ১৫ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপের খবরে বলা হয়, ৭৭ বছর বয়সী লী’র শারীরিক অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে সিউলের উচ্চ আদালত তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করে।

বার্ধক্য এবং ডায়াবেটিস ও ঘুমের জটিলতার কথা উল্লেখ করে গত জানুয়ারি মাসে লী জামিন আবেদন করেন।

কয়েকশ’ কোটি ডলারের তহবিল আত্মসাত করায় এবং ঘুষ গ্রহণের বিনিময়ে স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক্সের চেয়ারম্যান লী কুন-হী’কে ক্ষমা করে দেয়ায় লী’কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। কর ফাঁকি দেয়ার দায়ে হী’র কারাদন্ড হয়েছিল।

রক্ষণশীল এ রাজনীতিবিদ কোন ধরনের অপরাধ করার কথা অস্বীকার এবং রাজনৈতিক প্রতিশোধের অংশ হিসেবে তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ দায়ের করা হয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

দক্ষিণ কোরীয় রাজনীতির ধারার ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, দেশটির অনেক প্রেসিডেন্টকেই তাদের মেয়াদ শেষে কারাগারে যেতে হচ্ছে। বিশেষ করে তাদের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা প্রেসিডেন্টের ব্লু হাউজে প্রবেশ করলেই সাধারনত: এমনটা ঘটছে।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়ার জীবিত চার প্রেসিডেন্টের সকলকে ফৌজদারি অপরাধের দায়ে সাজা দেয়া হয়েছে। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/এমএইচ