আরামে হেসেখেলে সিরিজ জিতল পাকিস্তান

প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরোতে পারলো না বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। ফলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো স্বাগতিকরা। টাইগারদের দেয়া ১৩৭ রানের লক্ষ্য ২০ বল বাকি থাকতেই পেরিয়ে যায় বাবর আজমের।

পাকিস্তানের হয়ে রান তাড়া করতে নামেন বাবর আজম ও আহসান আলী। ইনিংসের দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম ওভারেই দলকে সাফল্য এনে দেন শফিউল। রানের খাতা খোলার আগেই রিয়াদের ক্যাচে পরিণত হন আহসান আলী।

তবে এরপর হাফিজকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক বাবর আজম। দুজনই তুলে নেন অর্ধশতক।ম্যাচশেষে হাফিজ এবং বাবর অপরাজিত থাকেন যথাক্রমে ৬৭ ও ৬৬ রানে।

এর আগে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টাইগারদের ম্যাচটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায়। ব্যাট হাতে ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ নাঈম। দ্বিতীয় ওভারে শাহিন আফ্রিদির করা দ্বিতীয় বলে মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ধরে পড়েন নাঈম (০)।

এ ম্যাচে একাদশে আসা মাহেদি হাসান ব্যাট হাতে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি। মোহাম্মদ হাসনাইনের বলে রিজওয়ানের দ্বিতীয় ক্যাচে পরিণত হওয়ার আগে ১২ বলে ৯ রান করেন তিনি। লিটন দাস ধীরস্থির শুরুর আশা দেখালেও শাদাব খানের লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ৮ রানের বেশি করতে পারেননি।

আফিফকে নিয়ে ৪৫ রানের জুটি গড়েন তামিম। ২০ বলে ২১ রান করে ফেরেন আফিফ। এরপরই তামিম তুলে নেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সপ্তম অর্ধশতক। ফিফটি পূরণের পথে ৪৪ বল খেলেন তামিম। এসময় চারটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি মারেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৫৩ বলে ৬৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন এ ড্যাশিং ওপেনার।

এদিন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-সৌম্য সরকার কেউই ব্যাট হাতে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। ব্যাটসম্যানদের ব্যার্থতায় নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৬ রান করে বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের হয়ে ২ উইকেট নেন মোহাম্মদ হাসনাইন। এছাড়া শাহিন আফ্রিদী, শাদাব খান ও হারিস রউফ একটি করে উইকেট শিকার করেন।

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে বাঁচতে ২৭ জানুয়ারি একই ভেন্যুতে পাকিস্তানের বিপক্ষে নামবে বাংলাদেশ।

আজকের বাজার/আরিফ