উইজডেনের ‘লিডিং ক্রিকেটার’ কামিন্স ও সিভার-ব্রান্ট

ক্রিকেটের বাইবেল খ্যাত উইজডেনের ‘লিডিং ক্রিকেটার’ নির্বাচিত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ও ইংল্যান্ডের ন্যাট সিভার-ব্রান্ট। প্রথমবারের মতো এ সম্মান অর্জন করেন তারা। আজ প্রকাশিত হয় উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালামনাকের চলতি বছরের সংস্করণ।
গেল বছর জুড়ে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে শুধুমাত্র ব্যাট-বল হাতেই নয়, অধিনায়ক হিসেবেও অসাধারন পারফরমেন্স করেছেন কামিন্স। দ্বিতীয় বিশ^ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পর ওয়ানডে বিশ^কাপের শিরোপা জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন কামিন্স। গেল মৌসুমে ইংল্যান্ডের সাথে ২-২ ব্যবধানে সিরিজ ড্র করে অ্যাশেজ ট্রফি ধরে রাখার কৃতিত্বও দেখান অধিনায়ক কামিন্স।
২০১২ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার হিসেবে ‘লিডিং ক্রিকেটার’ হলেন কামিন্স। সর্বশেষ এই সম্মাননা পেয়েছিলেন অসিদের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক।
কামিন্সের আগে টানা চার বছর এই স্বীকৃতি পেয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। ২০১৯ ও ২০২০ সালে বেন স্টোকস, ২০২১ সালে জো রুট এবং গেল বছরও সেরা হয়েছিলেন স্টোকস।
কামিন্সের সেরা হবার বিষয়ে নিজের অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে উইজডেনের সম্পাদক লরেন্স বুথ বলেন, ‘বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অস্ট্রেলিয়ার সাফল্যে নেতৃত্ব দেওয়ার পর অ্যাশেজ ধরে রাখতেও অবদান রাখেন কামিন্স। এজবাস্টনে প্রথম টেস্টের শেষ দিকে ব্যাট হাতে নেমে দলের জন্য অবদান রাখেন তিনি। এরপর ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ^কাপ জয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। গেল বছর টেস্ট ক্রিকেটে কামিন্সের ৪২ উইকেটের চেয়ে বেশি শিকার করতে পারেননি আর কোন পেসার।’
উইজডেনের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী এই স্বীকৃতিতে বর্ষসেরা পাঁচ ক্রিকেটার-এর তালিকায় এবার জায়গা পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার নারী ক্রিকেটার অ্যাশলি গার্ডনার, দুই পুরুষ উসমান খাওয়াজা, মিচেল স্টার্ক এবং ইংল্যান্ডের হ্যারি ব্রুক ও মার্ক উড।
গত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ১৬৩ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংসের সুবাদে টেস্ট ক্রিকেটে অসাধারণ পারফরমেন্সের পুরস্কার হিসেবে উইজডেন ট্রফি জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড।
নারী ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে সেরা হন সিভার-ব্রান্ট। গত জানুয়ারিতে আইসিসির বর্ষসেরা পুরুষ ও নারী ক্রিকেটার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন কামিন্স ও সিভার-ব্রান্ট।
টি-টোয়েন্টি লিডিং ক্রিকেটার হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের নারী ক্রিকেটার হেইলি ম্যাথুস। গেল বছর ব্যাটিংয়ে ৮৮ গড় ও ১৪৪ স্ট্রাইক রেট এবং বোলিংয়ে ১২ গড়ে উইকেট নিয়েছেন তিনি। টানা ৮ টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ-সেরা হওয়ায় অসাধারণ কীর্তি গড়েছিলেন মাথুস।
২০০৩ সালে প্রথম ‘লিডিং ক্রিকেটার’ খেতাব শুরু করে উইজডেন। প্রথম আসরেই সেরা হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং। টানা তিনবার এই সম্মাননা জয়ের রেকর্ড আছে ভারতের বিরাট কোহলির। ২০১৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত সেরা হয়েছিলেন কোহলি। (বাসস)