করোনায় আরও বাজেট ঘাটতির শঙ্কা প্রধানমন্ত্রীর

করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সার্বিক অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। তাই চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রাজস্ব আয় সম্ভব হবে না। এ অর্থবছর শেষে বাজেট ঘাটতির পরিমাণ আরও বেড়ে যাওয়া এবং প্রবৃদ্ধিও কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার (৫ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মন্দা প্রলম্বিত হলে বিশ্ব প্রবৃদ্ধি ১ দশমকি ৫ শতাংশে নেমে আসবে। বিশ্বব্যাপী বিপুল জনগোষ্ঠি কর্মহীন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

‘মন্দা প্রলম্বিত হলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর একটা মহামন্দার শঙ্কা করা হচ্ছে’ বলেও জানান তিনি।

বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কী ধরনের প্রভাব পড়বে তা এখনো নির্দিষ্ট করে বলার সময় আসেনি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অর্থনীতির প্রভাব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমদানি ব্যয় ও রফতানি আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এবার ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। অর্থবছরের পর এ হ্রাসের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চলমান মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং ব্যাংক সুদের হার হ্রাসের বাস্তবায়ন বিলম্বের কারণে বেসরকারি বিনিয়োগ প্রক্কলিত মাত্রায় অর্জন সম্ভব নয়। পর্যটন, হোটেল রেস্তরাঁ ও এভিয়েশন সেক্টরে বিরূপ প্রভাব পড়বে।’

‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো শেয়ারবাজারেও বিরূপ প্রভাব পড়ছে। বিশ্বব্যাপী জ্বালানী তেলের চাহিদা কমার কারণে এর মূল্য ৫০ শতাংশের অধিক হ্রাস পেয়েছে। বিরূপ প্রভাব পড়বে প্রবাসী আয়ের উপর। বাংলাদেশের ক্ষতি পরিমাণ ৩ দশমিক শূন্য ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে বলে এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক প্রাক্কলন করেছে। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে মনে হচ্ছে এ ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দীর্ঘ ছুটি বা কার্যত লকডাউনের ফলে ক্ষুদ্র বা মাঝারি শিল্পের উৎপাদন বন্ধ, পরিবহন সেবা ব্যহত হওয়ায় স্বল্প আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। ’

আজকের বাজার / এ.এ