বাজেটে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে ৩৭ হাজার কোটি টাকা

আসছে বাজেটে ব্যাংক থেকে ৮৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। বছর ব্যবধানে যা বাড়ছে ৩৭ হাজার কোটি টাকা। এই চাহিদা পূরণে সক্রিয় ভূমিকা পালনের আশ্বাস দিয়েছেন ব্যাংক নির্বাহীরা। তবে, ঋণ কেলেঙ্কারি, খেলাপি আর তারল্য সংকটে ধুঁকতে থাকা ব্যাংকখাত থেকে ঋণ বাড়ানো বাস্তব সম্মত হবে না। এমনটা মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ।

করোনায় ক্ষতবিক্ষত বৈশ্বিক অর্থনীতি। যার প্রভাব দেশের অর্থনীতিতেও। কমেছে রপ্তানি। ফলে কমছে রাজস্ব আয়ও। এ অবস্থায় আসছে বাজেটও ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক ঋণ বাড়ানোর আভাস অর্থ মন্ত্রণায়লের।

এমনিতেই ঋণ কেলেঙ্কারি আর তারল্য সংকটে জর্জরিত ব্যাংক খাত। এই অবস্থায় চলতি অর্থবছরে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা লক্ষ্যের বিপরীতে সরকারের ধার প্রায় দ্বিগুণ। তারওপর করোনার প্রভাব মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত প্রণোদনার অর্থের জোগানের সিংহভাগের ভার এখাতের ওপর। অর্থমন্ত্রণালয়ের আভাস আসছে বাজেটে অভ্যন্তরীণ ঋণ বাড়তে পারে আরও ৩৭ হাজার কোটি টাকা। বিপুল এ অর্থের জোগান দিতে কতটুকু সক্ষম দেশের ব্যাংক খাত।

যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলছেন, নানা চাপে থাকা ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণ বাড়ালে এর প্রভাব পড়বে বেসরকারি খাতে।

তাই সরকারের ব্যয় নির্বাহে বিকল্প অর্থায়নের পথ খোঁজার পরামর্শ তার।