জনগণের আস্থা অর্জন করুন: পুলিশ বাহিনীকে প্রধানমন্ত্রী

নিজেদেরকে‘জনগণের বাহিনী’হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন,‘আপনাদেরকে(পুলিশ)জনবান্ধব পুলিশ হতে হবে, যাতে মানুষ পুলিশ বাহিনীর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পারে।’সোমবার পুলিশ সপ্তাহ ২০২০ উপলক্ষ্যে নিজ কার্যালয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠককালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ চালু করার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ এখন পুলিশ বাহিনীর ওপর আষ্থা ফিরে পেয়েছে। ‘৯৯৯ এর মাধ্যমে কোনো অভিযোগ পেলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারছে। পুলিশের সেবা নিতে মানুষের মধ্যে এখন আর কোনো অনীহা নেই,’যোগ করেন তিনি।

পুলিশ কর্মকর্তাদের দেয়া একটি দাবির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুলিশ সদস্যদের এরই মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) সংযুক্ত করা হয়েছে।‘সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ(বিআরটিএ), বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ(বিআইডব্লিউটিএ)এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মতো সংস্থাগুলোতেও পুলিশ প্রতিনিধি রাখার বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে সরকার’,যোগ করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গ্রেপ্তারের আদেশ দিতে পারলেও কাউকে গ্রেপ্তার করার এখতিয়ার দুদকের নেই। কাউকে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে রাখা দুদকের কাজ নয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘দুদক কাউকে গ্রেপ্তার করতে চাইলে তাদের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে বলতে হবে। তারা আদেশ দিতে পারবেন। প্রত্যেককে তাদের মনোনীত কাজ করতে হবে।’

বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব কামাল উদ্দিন বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও স্বাগত বক্তব্য রাখেন পুলিশ মহাপরিদর্শক জাভেদ পাটোয়ারি। এর আগে, গত রবিবার রাজারবাগ পুলিশ লাইনে‘মুজিব বর্ষের অঙ্গিকার, পুলিশ হবে জনতার’প্রতিপাদ্য নিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ ২০২০ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সূত্র-ইউএনবি

আজকের বাজার/আখনূর রহমান