ঢাকায় প্রতি ১১ জনে,একজন চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত

রাজধানী ঢাকার প্রায় প্রতি ১১জনের একজন চিকুনগুনিয়া ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। রোগতত্ত্ব ও রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা ইন্সটিটিউটের এক গবেষনা জরিপে থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রায় একদশক ধরে বাংলাদেশে চিকুনগুনিয়া রোগের দেখা মিলছে। তবে এবারের মতো আগে কখনোই এতটা প্রকোপ আগে দেখা যায়নি। এ রোগে প্রচণ্ড জ্বর থেকে ওঠার পরেও শরীরে ব্যথা থেকে যায় দীর্ঘদিন।

চিকুনগুনিয়া ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন, বিশেষ করে যাদের প্রতিদিনকার আয়ের উপর নির্ভর করতে হয়।

ঢাকার গ্রিন লাইফ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. নাজিয়া হক জানিয়েছেন, গত কয়েকমাসে অন্য জ্বরের রোগীর তুলনায় চিকুনগুনিয়া আক্রান্ত রোগীই তাদের কাছে বেশি আসছে।

ডা. নাজিয়া হক বলছেন, ‘জ্বর আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে গত কিছুদিন ধরে আমাদের এখানে চিকুনগুনিয়া আক্রান্ত রোগীই বেশি আসছেন। এদের মধ্যে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত সবাই রয়েছেন।’

ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশাই চিকুনগুনিয়া রোগেরও কারণ। এখনো এই রোগের পুরোপুরি প্রতিকার আবিষ্কৃত হয়নি।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক মিরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা বলেছেন, ‘২০০৮ সাল থেকে এই রোগটি বাংলাদেশে শনাক্ত হলেও, এবছরই সবচেয়ে বেশি প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মোবাইল নাম্বারের ভিত্তিতে র‌্যানডমলি আমরা ৪ হাজার মানুষের মধ্যে একটি জরিপ করেছি। এখনো সেই জরিপের ফলাফল চূড়ান্ত হয়নি, পর্যালোচনা চলছে, তবে একটি ধারণা দিতে পারি। এই চার হাজার লোকের মধ্যে ৩৫৭জন চিকুনগুনিয়া জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। এ থেকে হয়তো ধারণা করতে পারেন যে, কত শতাংশ মানুষ রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছে।’

তাদের ধারণা, বৃষ্টি যতদিন থাকবে, অর্থাৎ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই রোগের প্রকোপ থাকতে পারে।

চিকিৎসকরা বলছেন, ততদিন মশা থেকে সতর্কতাই, যেমন মশারি বা ওষুধ ব্যবহার করাই হবে এ থেকে রক্ষা পাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায়। বৃষ্টির পর যাতে পানি জমে থাকতে না পারে, যেখানে মশা ডিম পাড়তে পারে, সেদিকেও নজর দিতে তারা পরামর্শ দিয়েছেন।

আজকের বাজার: এলকে/এলকে ৮ জুলাই ২০১৭