হলি আর্টিজান হামলার ‘পরিকল্পনাকারী’ সোহেলসহ আটক ৪

হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ‘অন্যতম পরিকল্পনাকারী’ নব্য জেএমবির উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডার সোহেল মাহফুজ ও তাঁর তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল ৭ জুলাই শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৌডালা এলাকার পুষ্করনির পাড় থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া বাকি তিনজন হলো- হাফিজ, জুয়েল ও জামাল। সোহেল মাহফুজকে ঢাকায় আনা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার পি.এম. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, জঙ্গিরা বারবার জায়গা বদল করছিল। তারা বৈঠক করার জন্য শিবগঞ্জের ওই এলাকায় জড়ো হয়েছিল। ওই সময় কাউন্টার টেররিজম ইউনিট এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ শুক্রবার রাতে শিবগঞ্জে যৌথ অভিযান চালিয়ে নব্য জেএমবির উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডার সোহেলসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

কে এই সোহেল মাহফুজ

গুলশান হামলার আরও আগে থেকেই জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত ছিলেন সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা সোহেল ওরফে নাসিরুদ্দিন ওরফে ভাগিনা সোহেল। সে জেএমবির পুরনো ধারার একজন শীর্ষ সদস্য। তিনি গুলশান হামলায় ব্যবহৃত গ্রেনেড সরবরাহ করেছেন। ‘নিউ জেএমবি’ নামে জঙ্গিদের যে নতুন তৎপরতা শুরু হয়েছে, এই তৎপরতার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ রয়েছে।

জেএমবির প্রতিষ্ঠাকালীন শুরা সদস্য হিসেবে নাম ছিল সোহেল মাহফুজের। ২০১০ সালে নিষিদ্ধ সংগঠনটির আমির সাইদুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পর তিনি নিজেকে আমির হিসেবে ঘোষণা করেন। কিন্তু কারাগারে থেকেও সাইদুর আমিরের পদ ছাড়তে না চাওয়ায় তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। সোহেল মাহফুজ গুলশান হামলার আরেক মাস্টারমাইন্ড নুরুল ইসলাম মারজানের ঘনিষ্ঠ। নিহত তামিম চৌধুরী গ্রেনেড ও অস্ত্র সংক্রান্ত বিষয়ে সোহেল মাহফুজের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বোমা তৈরি করতে গিয়ে সোহেলের বাম হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তিনি এক হাত দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র চালাতে পারেন। নব্য জেএমবির এ নেতার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১ জুলাই রাতে হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ২ জন পুলিশ ছাড়াও জিম্মি ২০ দেশি-বিদেশিকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ২০ জিম্মির মধ্যে ১৭ জনই ছিলেন বিদেশি। পরদিন ভোরে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৫ জঙ্গিও নিহত হয়।

আজকের বাজার: এলকে/এলকে ৮ জুলাই ২০১৭