তরুণীর সাথে মীমাংসা করলেন গাজী রাকায়েত

নানা ধরণের সমালোচনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আপস করলেন গাজী রাকায়েত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক তরুণীকে অনৈতিক প্রস্তাবের অভিযোগ নিয়ে হইচই ও পাল্টাপাল্টি মামলা হওয়ার পর অবশেষে বিষয়টি সোমবার মীমাংসা করেন তিনি।

সোমবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এই আপস-মীমাংসা হয়। আপসে গাজী রাকায়েত আদাবর থানায় দায়ের করা ৫৭ ধারার মামলা এবং ভুক্তভোগী তরুণীর শ্যামপুর থানায় দায়ের করা পর্নোগ্রাফি আইনের মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়।

গাজী রাকায়েত, ভুক্তভোগী ওই তরুণী এবং তার বান্ধবী প্রত্যেকেই উপস্থিত থেকে এই মীমাংসা করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি এক তরুণী ফেসবুক মেসেঞ্জারে গাজী রাকায়েতের সঙ্গে তার এক বান্ধবীর কথোপকথনের কয়েকটি স্ক্রিনশট প্রকাশ করেন। যেখানে দেখা যায়, গাজী রাকায়েত ওই তরুণীকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এই আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে গত ১৬ মার্চ রাজধানীর আদাবর থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় একটি মামলা (নং ১৮) দায়ের করেন গাজী রাকায়েত। এনিয়ে আরও বেশি আলোচনা-সমালোচনা শুরু হওয়ায় ওই তরুণী গত ২১ মার্চ শ্যামপুর থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে গাজী রাকায়েতের বিরুদ্ধেও মামলা (নং ২৬) দায়ের করেন।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সাইবার ক্রাইম শাখার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নাজমুল ইসলাম বলেন, “ওই তরুণীর ফেসবুক পোস্ট ‘মিসটেক অব ফ্যাক্ট’ হতে পারে। তবে, পুলিশ এই পোস্ট ৫৭ ধারার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ কিনা, তা খতিয়ে দেখছে। এছাড়া গাজী রাকায়েত কুটুর আইডিতে সন্দেহজনক আইপির মুভমেন্ট পাওয়া গেছে। ফেসবুক থেকে প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক সেসব আইপি সিঙ্গাপুরের বলে জানা যায়। প্রয়োজনে সিঙ্গাপুর পুলিশ ও ইন্টারপোল-এর সহায়তায় অপরাধী শনাক্ত করা হবে।’

এমআর/