পারেননি বাবর,পেরেছেন ইয়াসির

পাওয়ার কথা কার, পেল কে! কথাটা বেশ খাটে বাবর আজম ও ইয়াসির শাহর ক্ষেত্রে।

অ্যাডিলেডে গোলাপি বলের টেস্টে দলের বিপদে বাবর আজম যেভাবে খেলছিলেন, সেঞ্চুরিটা তার প্রাপ্যই ছিল। কিন্তু মাত্র ৩ রানের জন্য সেঞ্চুরিটা পাননি। আউট হয়েছেন ৯৭ রানে।

মিচেল স্টার্কের গুড লেংথে পড়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে ড্রাইভ করেছিলেন বাবর। ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ যায় উইকেটের পেছনে। ডান দিকে ডাইভ দিয়ে এক হাতে দারুণ ক্যাচ নেন উইকেটকিপার টিম পেইন।পাকিস্তান ২২ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন বাবর। যখন তিনি আউট হলেন, পাকিস্তানের রান ৭ উইকেটে ১৯৪। সপ্তম উইকেট জুটিতে ইয়াসির শাহর সঙ্গে বাবর যোগ করেন ১০৫ রান।

বাবর না পেলেও ইয়াসির ঠিকই সেঞ্চুরি পেয়েছেন। কি অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে? হতেই পারে! ব্যাটিং তো তার মূল কাজ নয়। এর আগে ৩৬ টেস্টে ৫৪ বার ব্যাটিংয়ে নেমে সর্বোচ্চ রান করেছিলেন ৪২। সেটাও আগের টেস্টেই, বলতে গেলে শেষ ইনিংসে। সেই লেগ স্পিনার ইয়াসির অ্যাডিলেডে আজ পুরোদুস্তুর ব্যাটসম্যান বনে গিয়েছিলেন। নবম উইকেটে মোহাম্মদ আব্বাসের সঙ্গে ৮৭ রানের জুটি গড়ার পথে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। স্বীকৃত ক্রিকেটেই এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি।

৮৬ থেকে স্টার্কের চার বলের মধ্যে দুই চার হাঁকিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন ৯৪-এ। এরপর এক-দুই করে এগিয়েছেন সেঞ্চুরির দিকে। তিন অঙ্ক ছোঁয়ার আগে বেশ স্নায়ুর পরীক্ষাও দিতে হয়েছে তাকে।

৯৯ থেকে জশ হ্যাজেলউডের টানা চার বলে কোনো রান নিতে পারেননি। পঞ্চম বলটা তুলে মেরেছিলেন। মিড অনে অল্পের জন্য ক্যাচ নিতে পারেননি প্যাট কামিন্স। সিঙ্গেল নিয়ে ইয়াসির পেয়ে যান স্বপ্নের সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরির পর তার উদযাপনটাও ছিল বাঁধনহারা। সেঞ্চুরির আগেই ড্রেসিং রুম থেকে মাঠের পাশে নেমে এসেছিল গোটা দল।

শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ২১৩ বলে ১৩ চারে ১১৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন ইয়াসির। পাকিস্তান অবশ্য ফলোঅন এড়াতে পারেনি। ৩০২ রানে অলআউট হয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছে দ্বিতীয় ইনিংসে।

অস্ট্রেলিয়াকে আবার ব্যাটিংয়ে নামাতে পাকিস্তানকে করতে হবে ২৮৭ রান। ডেভিড ওয়ার্নারের ট্রিপল সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ঘোষণা করেছিল ৩ উইকেটে ৫৮৯ রানে। আজ বল হাতে ৬ উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক।

আজকের বাজার/আরিফ