বজ্রপাতে ২০১৮ সালে ৪৪৯ জনের মৃত্যু: আইডিইবি

বজ্রপাতে বাংলাদেশে প্রতি বছর নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। ২০১৮ সালে ৪৪৯ জন বজ্রপাতে মারা গেছেন বলে রোববার ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) তাদের পরিসংখ্যানে তুল ধরেছে।

ঢাকার কাকরাইলে আইডিইবি আয়োজিত ‘বজ্রপাতজনিত ভয়াবহতা মোকাবেলায় করণীয়’ শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনায় বক্তারা বলেন, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব ও বিকাশমান অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রেক্ষিতে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদির বহুমাত্রিক ব্যবহারের কারণে আশংকাজনক হারে ঘটছে প্রাণহানি। খবর ইউএনবি

আলোচনা সভায় আইডিইবির সভাপতি এ কে এম এ হামিদের সঞ্চালনায় অতিথি আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণমাধ্যমের সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইডিইবি’র সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান। বিষয়ের ওপর পৃথক দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইডিইবি’র রিসার্চ ফেলো মো. ইয়াকুব হোসেন শিকদার ও মো. মনির হোসেন।

আইডিইবি’র রিসার্চে প্রাণহানির পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলা হয়, বজ্রপাতে ২০১৫ সালে ২৭৪ জন, ২০১৬ সালে ৩৮৭ জন, ২০১৭ সালে ৩৭২ জন এবং ২০১৮ সালে ৪৪৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এদের অধিকাংশই প্রান্তিক জনগোষ্ঠি। যাদের মধ্যে প্রান্তিক কৃষক ৩৪ ভাগ, নির্মাণ শ্রমিক ২৬ ভাগ, পথচারি ৯ ভাগ, সামরিক কাজ ও বার্জে চার ভাগ করে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ২৩ ভাগ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে।

উত্থাপিত প্রবন্ধে বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় ২২টি সুপারিশ করা হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-হাওড় অঞ্চলে সুরক্ষা জোন তৈরি করা, বিদ্যুতের এইচপিসি পোল, কাঠের খুঁটি, ইস্পাত টাওয়ার ইত্যাদিতে আর্থিং করার সময় অবশ্যই ডাউন কন্টান্ডটর/ আর্থ কন্ট্রিনিউটি ওয়্যার ব্যবহার করা, বজ্রপাত সম্পর্কিত ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি পাঠ্যপুস্তুকে অন্তর্ভুক্ত করা।

অনুষ্ঠানে অতিথি আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন নিউজ ২৪ এর সাংবাদিক মো. মাহমুদুল হাসান, জনকণ্ঠের নগর সম্পাদক কাওছার রহমান, দৈনিক বর্তমানের চিফ রিপোর্টার মোতাহার হোসেন, ইউএনবির সিনিয়র রিপোর্টার মাসউদুল হক, বিজনেস নিউজ এর চিফ রিপোর্টার মো. মাজহারুল আনোয়ার খান, দৈনিক যুগান্তরের সহকারী সম্পাদক সুচি সৈয়দ, চ্যানেল আই এর সিনিয়র নিউজ এডিটর আদিত্য শাহীন, জিটিভি’র চিফ রিপোর্টার রাজু আহমেদ, বিটিভি’র প্রযোজক মাসুদ এ হাসান, যমুনা গ্রুপের জিএম মো. মিজানুর রহমান, আজাদীর ঢাকা ব্যুরো প্রধান এম ওয়াহিদ উল্লাহ, আমাদের সময়ের স্টাফ রিপোর্টার চপল মাহমুদ, এসএ টিভির স্টাফ রিপোর্টার মিজান আহমেদ প্রমুখ।

আজকের বাজার/এমএইচ