বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সময় বেঁধে দেওয়ায় নাখোশ সংস্কৃতিমন্ত্রী

নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সূর্যাস্তের আগে উন্মুক্ত স্থানে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান শেষ করার নির্দেশনায় ‘নাখোশ’ হয়েছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, জঙ্গিবাদের কারণে যে ‘নিরাপত্তা উদ্বেগ’ দেখা দিয়েছে তা নির্মূলেই সাংস্কৃতিক চর্চা বেশি জরুরি।

তিনি বলেছেন, নিরাপত্তাকে অবশ্যই অগ্রাধিকারে রাখতে হবে। তবে তার জন্য সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড যাতে ব্যাহত না হওয়ায় সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেছেন, জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদকে কেবল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী দিয়ে মোকাবেলা করা যাবে না। শিক্ষা ও সংস্কৃতির আলোয় সবার অন্তরকে আলোকিত করতে হবে। তা না হলে ধর্মের অপব্যাখ্যার অন্ধকার দূর হবে না মানুষের মন থেকে।

দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন সংবাদ মাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব বলেন আসাদুজ্জামান নূর।

তিনি বলেন, ‘অন্ধকারের শক্তি’ ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মঙ্গল শোভাযাত্রা বা পহেলা বৈশাখ উদযাপনের সাথে ধর্মের কোনো সংঘাত বা সংঘর্ষ নেই। আমাদের সবাইকে একত্রে এসব সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।

বিকাল ৫টার মধ্যে উন্মুক্ত স্থানে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান শেষ করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের নির্দেশনার সমালোচনা করে তিনি বলেন, অমর একুশে গ্রন্থমেলা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি যদি রাত অবধি চলতে পারে, সেখানে যদি নিরাপত্তা ঠিক থাকে, তাহলে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড আয়োজনের ক্ষেত্রেও ধরাবাধা নিয়ম হওয়া উচিত নয়।

মন্ত্রী বলেন, উগ্র মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদকে বাঙালি জাতি যে প্রত্যাখ্যান করেছে, অসাম্প্রদায়িক মঙ্গল শোভাযাত্রা সারা দেশে উদযাপনের মাধ্যমে তা আমরা গোটা বিশ্বকে জানিয়ে দিতে চাই।

বর্ষবরণকে এসময় তিনি ‘উৎসবের গণ্ডি পেরিয়ে তা হয়ে উঠেছে মানবিকতা ও সম্প্রীতির উৎস’ হিসাবে উল্লেখ করেন।