মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে ৩০ লাখ বৃক্ষরোপণের সিদ্ধান্ত

মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে সারাদেশে আবারও একযোগে ৩০ লাখ গাছের চারা রোপনের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করে কর্মযজ্ঞটি এক দিনেই শেষ করতে চায় মন্ত্রণালয়।

রোববার সচিবালয়ে সভাকক্ষে জাতীয় বৃক্ষরোপন অভিযান উপলক্ষে আয়োজিত সভায় পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এই কর্মসূচির কথা জানান।তবে কোনদিন এই অভিযান চালানো হবে, সেই সিদ্ধান্ত জানাতে পারেননি তিনি।

গত বছরও শহীদদের স্মরণে একই ধরনের একটি অভিযান চালানো হয়েছিল। মন্ত্রণালয় বলছে, এর মাধ্যমে শহীদদের যেমন শ্রদ্ধা জানানো যায়, তেমনি পরিবেশ রক্ষায়ও এই উদ্যোগ বিশেষ ভূমিকা রাখে।

পরিবেশ ও বন মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ৩০ লাখ শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এ উদ্যোগ নিয়েছি। এ কাজে সারাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আমাদের সহযোগিতা করবে।’

কত দিনে এই পরিমাণ বৃক্ষ রোপন করা হবে-এ বিষয়েও প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী। বলেন, ‘যদি সম্ভব হয় আমরা চাই একদিনে একাজ সম্পন্ন করতে। যদি এটা করতে পারি তাহলে আমাদের উদ্যোগ একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে।’

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলে, ‘বাংলাদেশে মোট ভূমির তুলনায় ২৫ শতাংশ বনাঞ্চল থাকার কথা থাকলে তা নেই। আমরা বিভিন্ন জায়গায় গাছ রোপনের মাধ্যমে এ লক্ষ্য অর্জণের চেষ্টা করছি।’

‘কিন্তু দেশের ঘন জনবসতি ও উন্নয়নমূলক নানা কর্মকান্ডের কারণে গাছ কেটে ফেলতে হয়। ফলে এটা অর্জন আমাদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

এই অভিযান কবে হবে-জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘বৃক্ষরোপন অভিযান কোনদিন পালন করব, তা আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। তবে এ অভিযান পালনের জন্য আগামী ১০ দিনের মধ্যে সারাদেশের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরী ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ এর আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ও সম্ভাব্য  রোপনযোগ্য চারার সংখ্যা উল্লেখ করে তথ্যাদি প্রেরণ করবে।’

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এই গাছের চারা বিমানূল্যে সরবরাহ করবে বন অধিদপ্তর। এমনিতে এই ৩০ লাখ চারার জন্য দেড় কোটি টাকা দিতে হতো অধিদপ্তরবে।

কিন্তু এই টাকা মওকুফ করার জন্য প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বন অধিপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

চারা লাগানো এবং অন্যান্য আনুসাঙ্গিক যে খরচ হবে, সেটিও সরকারের তহবিল থেকে ব্যয় হবে না। শিক্ষার্থীদেরকে দিয়ে চারা রোপনে খরচ স্ব স্ব স্কুল বহন করবে।

এমআর/