সুস্বাদু ও ঔষধি গুণ থাকায় বাড়ছে লটকন চাষ

অল্প খরচে বেশি লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই নরসিংদীতে বাড়ছে লটকনের বাগান। দেশের চাহিদা মিটিয়ে রফতানি হচ্ছে বিদেশেও। লটকন চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য পেয়েছে অনেকেই। শুধু তাই নয় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে লটকন ফল উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে বলে কৃষকদের দাবি। তবে বৈজ্ঞানিক উপায়ে সময়োপযোগী এর ফলন বৃদ্ধিসহ দেশের বাইরে এর রফতানি বৃদ্ধি করা গেলে এই অঞ্চলের মানুষের একটি মজবুত অর্থনৈতিক ভীত গড়ে উঠবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এই বছর জেলায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে লটকনের আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ১৫৮ হেক্টর বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লটকন চাষ হয়েছে শিবপুর উপজেলায়।

সুস্বাদু লটকন ঔষধি গুণ সম্পন্ন হিসেবে জনপ্রিয়তা পাওয়ায় এর চাহিদা বেড়েছে কয়েক গুণ।

এছাড়া অন্যান্য ফসলের তুলনায় কয়েকগুণ লাভ বেশি হওয়ায় লটকন চাষে ঝুঁকে পড়ছে কৃষকরা। পরিচর্যাও করতে হয় কম। তবে এ বছর ফলন বেশি হওয়ায় লটকনের আকার ছোট হয়েছে। এতে লটকনের মূল্য কম পেয়েছে কৃষক।

শিবপুর উপজেলার জয়নগরের লটকন চাষী ইমাম উদ্দিন সরকার বলেন, আমার প্রায় ৫বিঘা লটকনের জমি রয়েছে। এছাড়া আরো কয়েক বিঘা জমিতে লটকনের চারা রোপণ করেছি। এ বছর লটকনের ফলন বেশি হয়েছে। তবে লটকন বেশি হওয়ায় আকার হয়েছে ছোট। যার কারণে লটকনের মূল্য এবার কম পাওয়া গেছে।

এ বছর লটকন দেড় হাজার টাকা থেকে প্রায় ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতি মণ লটকন বিক্রি হচ্ছে। যা গত বছরের তুলনায় অর্ধেক।

তিনি আরো বলেন, প্রতি বছরই লটকনের বাগান বাড়ছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় অধিক লাভ হওয়ায় লটকন চাষে বেশি ঝুঁকে পড়ছে চাষীরা।

নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. লতাফত হোসেন বলেন, চাষীদের লাভের পরিমাণ বাড়াতে লটকনের সময়কাল বাড়ানোর জন্য আগাম ও নাভী জাতের লটকনের চারা কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে।

এ বছর জেলায় প্রায় ২৫ হাজার মেট্রিক টন লটকন উৎপাদন হবে। এতে কোটি কোটি টাকা মূল্য পাবে কৃষকরা। এর মধ্যে প্রায় ১শত মেট্রিক টন লটকন রফতানি হবে দেশের বাইরে। তবে আগামীতে দেশের বাইরে লটকন রফতানি বাড়ানো হবে।

আজকের বাজার/লতিফ