১০০ কোটি টাকা উদ্যোক্তা তহবিল গঠনের প্রস্তাবের প্রশংসা করেছে বিসিআই

প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের জন্য ১০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিলের ব্যবস্থা রাখায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রি (বিসিআই)। পাশাপাশি সংগঠনটি মূলধনী যন্ত্রপাতি ও শিল্পের ব্যবহৃত মৌলিক কাচাঁমাল আমদানি পর্যায়ে প্রস্তাবিত অগ্রিম কর (এটি) প্রত্যাহার পূর্বক মূসক আইনের ৩১ ধারা সংশোধন এবং ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি) প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছে।
শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত বাজেট পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে বিসিআই এমন অভিমত তুলে ধরে।
সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে বলেন,প্রতিবন্ধীদের সুরক্ষার জন্য কোন প্রতিষ্ঠান ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী শ্রমিক নিয়োগ প্রদান করলে ৫ শতাংশ কর রেয়াত প্রদান, দক্ষতা উন্নয়নের জন্য জাতীয় মানবসম্পাদ উন্নয়ন তহবিল গঠন অত্যন্ত সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এজন্য তিনি সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
২০১৯-২০২০ অর্থবছর থেকে মূসক ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ বাস্তবায়নের ঘোষণা, মূসক মুক্ত টার্নওভারের সীমা ৫০ লাখ টাকায় উন্নীত করা, টার্নওভার করের উর্দ্ধসীমা ৮০ লাখ টাকা হতে বাড়িয়ে ৩ কোটি টাকায় উন্নীতকরণসহ বিপুল সংখ্যক আইটেম মূসকের আওতা মুক্ত রাখার প্রস্তাবের প্রশংসা করেছে বিসিআই।
সংগঠনটি বলছে, বিসিআই স্থানীয় ঋণপত্রের উপর ৩ শতাংশ, এলসি কমিশনের উপর ৫ শতাংশ এবং আমদানি পর্যায়ে মূল্যের উপর ৫ শতাংশ উৎসে কর আদায় করা হয়। একই পণ্য উপর্যুপরি উৎসে কর এবং বহু ক্ষেত্রে অর্জিত মুনাফার উপর প্রদেয় করের চেয়ে বহুগুন বেশি। কর্তনকৃত করসমূহ সমন্বয় বা ফেরত পাওয়া দুস্কর। এ সকল উৎসে কর রহিত করার অনুরোধ করেছে বিসিআই।