পাটজাত পণ্য রপ্তানী আয় দ্বিগুণ করতে চাই : পাট মন্ত্রী

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বাংলাদেশ প্রতিবছর গড়ে এক বিলিয়ন ডলারের পাটজাত পণ্য রপ্তানী করছে।
মন্ত্রী বলেন, আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে পাটজাত পণ্য রপ্তানী আয় ২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চাই। সেই লক্ষ্য নিয়ে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবো।
জাহাঙ্গীর কবির নানক শনিবার জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে স্থাপিত ইপিবির বুথে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশান সেন্টার (জেডিপির) নির্বাহী পরিচালক গোপাল চন্দ্র দাশ, দূতাবাসের কমার্শিয়াল মিনিস্টার সাইফুল ইসলাম, আম্বিয়ান্তে ফেয়ারে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের ২য় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। তৈরী পোশাক বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানী পণ্য। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের তৈরী পোশাক ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ একটা ব্র্যান্ড তৈরী করতে সমর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ পোশাকের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। জার্মানি আমাদের রপ্তানী পণ্যের দ্বিতীয় গন্তব্যস্থল। জার্মানিতে আমরা প্রতিবছর ৭ বিলিয়ন ইউএস ডলার রপ্তানি করি। যার ৯০ ভাগ গার্মেন্টস পণ্য। রপ্তানি পণ্য হিসেবে শুধুমাত্র গার্মেন্টস পণ্যের উপর নির্ভরশীল না থেকে বহুমুখী পাটজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে কার্যকরি উদ্যোগ নেয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশ ২য় পাট উৎপাদনকারী দেশ। বাংলাদেশে অতি উন্নতমানের পাট উৎপাদিত হয়। আমাদের কাঁচাপাট জার্মানির মার্সিডিজ গাড়ির ফ্রন্টডেক্স তৈরীতে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের উদ্যোক্তগণ পাট দিয়ে ২৮২ ধরণের বহুমুখী পাটজাত পণ্য উৎপাদন করছে যা বিশ্বের ১৩৫টি দেশে রপ্তানী হয়।
মেলায় বাংলাদেশ, ভারতসহ অন্যান্য দেশের স্টল পরিদর্শন করে তিনি বলেন,  বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের পাটজাত পণ্যের ডিজাইন ও নিউ ট্রেন্ড দেখেছি।
তিনি খুবই আশ্চর্যজনকভাবে লক্ষ্য করেছেন যে, আমাদের অনেক উদ্যোক্তা চমৎকার পরিবেশবান্ধব পণ্য সামগ্রী নিয়ে মেলায় এসেছে।
তিনি আরো বলেন,এবছর বাংলাদেশ থেকে ৪৮জন উদ্যোক্তা মেলায় তাদের পণ্য প্রদর্শনীর সুযোগ পেয়েছে। ইপিবির সহযোগিতায় এখানে এসেছে ১১জন উদ্যোক্তা।

মন্ত্রী বলেন, তিনি দেশে গিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে আগামী মেলায় যাতে আরও বেশি উদ্যোক্ত নিয়ে মেলায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চান। প্রয়োজনে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্রণোদনা ও সরকারি সহযোগিতায় জার্মানি সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে মেলায় অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করব।
তিনি আরো বলেন, জার্মানির মেলায় এসে এটা অনুধাবন করতে পেরেছি যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মেলায় অংশগ্রহণ ছাড়া রপ্তানী আয় বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়।

মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মেলার হেড অব ইন্টারন্যাশনাল স্টেফান সুন্ডার। এসময় সঙ্গে ছিলেন ফ্রাঙ্কফুর্ট মেলার দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান কর্মকর্তা ওমর সালাউদ্দিন।
আলোচনায় মেলার ভবিষ্যতে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির সুবিধার্থে উভয় পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস ব্যক্ত করা হয়। (বাসস)