অক্সফোর্ডের করোনার টিকা বানরে কার্যকর

মানুষের ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগের আগে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি টিকা ছয়টি বানরের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছিল। তাতে সফলতা মিলেছে। নিউইয়র্ক টাইমস’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের হ্যামিলটনের রকি মাউন্টেন ল্যাবরেটরিজের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ছয়টি বানরের ওপর প্রথমে টিকাটি প্রয়োগ করা হয়। এরপর সেগুলোর দেহে ব্যাপক মাত্রায় নভেল করোনাভাইরাস ঢোকানো হয়। ২৮ দিন পর দেখা গেছে বানরগুলো পুরোপুরি সুস্থ আছে।

বানরের ওপর সফল প্রয়োগের খবর পাওয়ার পরপরই সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী আদর পুনাওয়ালা জানান, তারা টিকা উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যেহেতু বানরের ওপর টিকাটি কাজ করেছে, সেহেতু মানষের ওপরও তা কাজ করবে বলে আশাবাদী তিনি।

পুনাওয়ালা বলেন, অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা ছিল বলেই তাদের সঙ্গে এ কাজে যুক্ত হয়েছি। আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঝুঁকি তো নিতেই হয়।

২৩ এপ্রিল মানুষের ওপর করোনার টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেই টিকার ফল পাওয়া যাবে। আর তা সফল হবে বলে মনে করেন পুনাওয়ালা।

অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন, টিকাটি কাজ করছে কিনা শুধু এটুকু দেখাই যথেষ্ট নয়। বরং তাতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা অথবা ভাইরাস প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ছে কিনা তাও দেখতে হবে।

লাইভমিন্টের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা করোনা প্রতিরোধী যে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করেছে তা উৎপাদনের দায়িত্ব পেয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ভারতের পুনে শহরের দু’টি কারখানায় টিকা তৈরির কাজ শুরু হবে। আগামী বছরের মধ্যে ৪০ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।

পুনাওয়ালা জানান, প্রতি ডোজ টিকার বাজার মূল্য হবে এক হাজার রুপি। আগামী চার-পাঁচ মাসের মধ্যে ৩০ থেকে ৫০ লাখ ডোজ টিকা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সিরাম ইনস্টিটিউট। এ জন্য ৩০ থেকে ৪০ কোটি রুপি বিনিয়োগ করা হবে।