অগ্নিকান্ড ও ভূমিকম্পসহ যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় বিএসএমএমইউতে সেমিনার

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) অগ্নিকান্ড ও ভূমিকম্পসহ যেকোনো দুর্যোগে হাসপাতালগুলোর জরুরি প্রস্তুতি মোকাবেলা ও করণীয় নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিএসএমএমইউ’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
আজ (সোমবার) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকের ডা. মিল্টন হলে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো: শহীদুল্লাহ সিকদার।
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ইউএসএইড বাংলাদেশ-এর পরিচালক মিস্টার পল ম্যাসন।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন নিপসম-এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. বায়জিদ খোরশিদ রিয়াজ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চীফ অফ পার্টিÑস্ট্রেনদিং আর্থকোয়েক রেজিলিনসি ইন বাংলাদেশ (এসইআরবি) ও এশিয়ান ডিজাস্টার প্রিপারেডনেস সেন্টার (এডিপিসি)।
উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া বলেন, ‘হসপিটাল ডিজাস্টার রেজিলিয়েনসি এন্ড সেফটি শীর্ষক সেমিনারটি ভূমিকম্প, অগ্নিকা-সহ যেকোনো দুর্যোগকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের জন্য জরুরি প্রস্তুতি, মোকাবেলা ও করণীয় নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন,সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালসহ বেশকিছু অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়া ভূমিকম্পের ঝুঁকিতো রয়েছেই। তাই এ ধরণের দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি থাকাটা অত্যন্ত জরুরি।
ডা. কনক কান্তি বড়–য়া বলেন,এই ধরণের দুর্যোগ মোকাবেলায় যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখে সঠিকভাবে ভবন নির্মাণ করা খুবই জরুরি। নির্মিত ভবনগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আমাদের অনেক কিছুই করণীয় আছে। শিক্ষা কারিকুলামেও বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকমের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং সেই কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, স্ট্রেনদিং আর্থকোয়েক রেজিলিনসি ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৩ জালের জুন মাসে এবং চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত এই প্রকল্পের কার্যক্রম চলবে।
ইতোমধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রংপুর, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানের ২৪টি সরকারি হাসপাতালে ‘ভূমিকম্প, অগ্নিকান্ডসহ যেকোনো দুর্যোগকালীন সময়ে হাসপাতালগুলোর জরুরি প্রস্তুতি, মোকাবেলা ও করণীয়’ নিয়ে ৩৫টি প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালিত হয়েছে।