অনুমোদন পেল ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০

পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, খাদ্য ও পানির নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও দুর্যোগ মোকাবেলার মাধ্যম ব-দ্বীপ হিসেবে বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সরকার ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ অনুমোদন করেছে।

নতুন পরিকল্পনার ফলে ২০৩০ সাল নাগাদ দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি আরো দেড় শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে এনইসি চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এনইসির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

পরিকল্পনার স্বল্প-মেয়াদি পদক্ষেপগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে, মধ্য-মেয়াদিগুলো ২০৫০ সালের মধ্যে এবং দীর্ঘ-মেয়াদিগুলো ২১০০ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।

পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ২০৩০ সালের মধ্যে সরকারের প্রয়োজন হবে তিন হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার।

মুস্তফা কামাল বলেন, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি আরো দেড় শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।

আজকের দিনটিকে বাংলাদেশ ও নিজের মন্ত্রণালয়ের জন্য ‘স্মরণীয় দিন’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, দেশে এই প্রথমবারের মতো প্রায় ১০০ বছর মেয়াদি কোনো পরিকল্পনা অনুমোদন করা হলো।

মন্ত্রী জানান, এমন পরিকল্পনা গ্রহণ করে নেদারল্যান্ড অনেক উপকৃত হয়েছে। দেশটি মূল ভূখণ্ডের বাইরে আরো প্রায় ছয় হাজার বর্গকিলোমিটার জমি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।

ব-দ্বীপ এলাকা বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে নেদারল্যান্ডের অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এমন পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন, যোগ করেন মুস্তফা কামাল।

তিনি আরো জানান, বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে ২০২১-৪১ সালের জন্য আরেকটি পরিকল্পনা তৈরির কাজ চলমান রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, পরিকল্পনা কমিশনের জেইডির সদস্য অধ্যাপক ড. শামসুল আলম ও সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

আজকের বাজার/এমএইচ