অপেশাদার মার্চেন্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিএসইসি

অপেশাদার মার্চেন্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন।

তিনি ১৫ নভেম্বর বুধবার পুঁজিবাজারের সাংবাদিকদের সংগঠন সিএমজেএফের (ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম) নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে একথা জানান।

বিএসইসির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সাংবাদিকদের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সিএমজেএফের সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল। অনুষ্ঠানে বিএসইসির কমিশনার ড. স্বপন কুমার বালা, আমজাদ হোসেন এবং খোন্দকার কামালুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

ড. এম খায়রুল হোসেন বলেন, বর্তমানে বাজারে ৫৭টি মার্চেন্ট ব্যাংক রয়েছে। এই ব্যাংকগুলোর মূলত ইস্যু ব্যবস্থাপনা, পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপনা এবং আন্ডার রাইটিং এর কাজ করে। অনেক প্রতিষ্ঠান ২টি কাজ করলেও ইস্যু ব্যবস্থাপনা করতে পারছে না। এদেরকে বিএসইসির পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে ব্যাখা জানতে চাওয়া হবে।

এক্ষেত্রে গ্রহনযোগ্য ব্যাখা না দিতে পারলে লাইসেন্স বাতিলের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে হুশিয়ার করেন তিনি।

তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে সুশাসন নিশ্চিতের জন্য আমরা কাজ করছি। এক্ষেত্রে আগামীতে অপরাধীদের চিহ্নিত করার জন্য পুঁজিবাজার গোয়েন্দা ইউনিট নামে একটি শাখা করার পরিকল্পনা রয়েছে। বিএসইসিতে জনবল বাড়লে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে।

তিনি আরও বলেন, আইপিওতে কোম্পানির মূল্য নির্ধারণ নিয়ে এর আগে অনেক প্রশ্ন ছিল। বর্তমানে এখানে একটি শৃংখলা ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এখন বিএসইসি আর কোনো কোম্পানিতে প্রিমিয়াম দেয় না। কোনো কোম্পানি প্রিমিয়ামে আসতে হলে অব্যশই তাকে বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে যেতে হবে। এতে বাজারের চাহিদা অনুসারে শেয়ারের মূল্য নির্ধারিত হবে।

বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, পুঁজিবাজার ডিমিউচুয়ালাইজড হয়েছে। ফলে আগামীতে বাজারে অনেক নতুন নতুন পণ্য আসছে। এতে বাজারের গভীরতা আরও বাড়বে।

বৈঠকে ড. স্বপন কুমার বালা বলেন, পুঁজিবাজারকে স্বচ্ছ ও গতিশীল করতে কাজ করছে কমিশন। এখন অনেক তথ্য স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েব সাইটে পাওয়া যায়। এই ওয়েবসাইটকে আরও সমৃদ্ধ করা হবে। এ সময়ে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করার পরামর্শ দেয়া হয়।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে ১৫ নভেম্বর ২০১৭