প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু হয় সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আমি আশা করব এ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো আসবে। কারণ, একটা রাজনৈতিক দল নির্বাচন না এলে সেই দল শক্তিশালী হয় না। তাই আমরা আশা করি, সব দল আসবে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে।
যুবলীগের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার, ১১ নভেম্বর গণভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের যে উন্নয়নের ধারাটা সূচিত হয়েছে, আমরা মেগা প্রকল্পগুলো নিয়েছি, দারিদ্র্য বিমোচনের অঙ্গীকার করেছি। দারিদ্র্য ৪০ ভাগ থেকে ২১ ভাগে নামিয়ে এনেছি। আরেকবার ক্ষমতায় আসতে পারলে আরো চার থেকে পাঁচ ভাগ কমাতে পারব। বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত ঘোষণা করতে পারব। আমরা না থাকলে কেউ করবে না।
যুবসমাজের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, যুব সমাজকে একটা বার্তা দিতে হবে। আজকে যুব সমাজের জন্য যে কাজগুলো করে দিয়ে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে তাদের জীবনটা যেন সম্মানজনক হয়, উন্নত হয়। যদি ত্যাগের মনোভাব থাকে তাহলে সফল হতে পারবে। যারা রাজনীতি করবে তাদেরকে বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও আদর্শ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। কী পেলাম, কী পেলাম না সেই হিসাব করবেন না, হিসাব করবেন কতটুকু জনগণকে দিলাম, দিতে পারলাম।
তিনি আরো বলেন, লোভকে জয় আর ভয়কে যে জয় করতে পারবে সেই পারবে দেশ ও জাতির সেবা করতে। সম্পদের পাহাড় গড়লে ওই সম্পদই থাকবে। মরতে তো একদিন হবেই। কিন্তু দেশকে কিছু দিয়ে দেওয়া যাবে না। ভোগে সার্থকতা নেই, ত্যাগেই সার্থকতা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি, দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, প্রকাশনা সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, উত্তরের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ অন্যরা।
আজকের বাজার/এমএইচ
