অবৈধ অটোরিকশা চলাচলে বাধা দেওয়ায় পুলিশের উপর হামলা

কুমিল্লা জেলা

অবৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলে বাধা দেওয়ায় পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের এক সার্জেন্টসহ ৭ সদস্য আহত হয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে।

শনিবার (২ জুন) দুপুরে উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের নোয়াপাড়া সিরিঞ্জ ফ্যাক্টরি সংলগ্ন রাজেন্দ্রপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত পুলিশ সার্জেন্ট আশিক, এএসআই দুলাল, কনস্টেবল আবুল খায়ের, মহসিন ও মাহবুবসহ আহত অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় পুলিশের একটি পিকআপ ভাঙচুর করা হয়।

হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে অবৈধ নসিমন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকসহ অন্যান্য অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধে  অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময়  টহল পুলিশ এক প্রতিবন্ধীর একটি রিকশা আটক করে। তবে পরে তা ছেড়ে দেওয়া হয়।

মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মঞ্জুরুল হক বলেন, ঘোলপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী জাফর ঘটনাস্থলে এসে প্রতিবন্ধীর অটোরিকশাটি আটক করার কারণ জানতে চান এবং অশালীন ভাষায় গালমন্দ করে ভবিষ্যতে এ ধরণের অভিযান থেকে পুলিশকে বিরত থাকার জন্য বলেন। এ সময় চেয়ারম্যানের শ্যালক মাসুম তার লোকজন নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে এসে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে সার্জেন্ট আশিকুর রহমানসহ পুলিশের ৭ জন সদস্য আহত হন।

তবে ঘোলপাশা ইউপি চেয়ারম্যান কাজী জাফর জানান, প্রতিবন্ধী রিকশাচালক বশির আহমেদের রিকশাটি পুলিশ আটক করার পর এর চাকার হাওয়া ছেড়ে দেয় এবং রিকশাটি ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে স্থানীয় জনতার তোপের মুখে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।

তিনি আরও জানান, স্থানীয়দের অনুরোধে এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি জানার চেষ্টা করলে পুলিশ তাকেসহ (চেয়ারম্যান) এলাকার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে সাবেকপাড়া গ্রামের আবুল খায়ের, নোয়াপাড়া গ্রামের দেলোয়ার ও রাজেন্দ্রপুর গ্রামের সহিদ মিয়া আহত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।

এদিকে হাইওয়ে কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম জানান, মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখতে হাইওয়ে পুলিশের অভিযানকালে যারা পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।

আরএম/