অবৈধ পথে প্রবাসী আয়ের অর্থ আসায় কমছে রেমিট্যান্স

চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল মেয়াদে মোট ১ হাজার ২৮ কোটি ৭২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ দশমিক ২ শতাংশ কম। প্রবাসী আয়ের অর্থ অবৈধ পথে দেশে আসছে বলে রেমিট্যান্স কমছে বলে দাবি করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

আজ ২৭ মে শনিবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের অর্থনীতি (তৃতীয় অন্তর্বর্তীকালী পর্যালোচনা) প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর এমন দাবি জানায় সংস্থাটি।

সিপিডির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে অর্থাৎ জুলাই-এপ্রিল মেয়াদে ১ হাজার ২২৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। ওই অর্থবছরের তুলনায় চলতি বছরে এখন পর্যন্ত বিদেশে বাংলাদেশির কর্মসংস্থানের হার ৩৪ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। এর বিপরীতে রেমিট্যান্স ১৬ দশমিক ২ শতাংশ কমে ১ হাজার ২৮ কোটি ৭২ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে।

এই গবেষণা সংস্থাটির মতে, বিদেশে বাংলাদেশি কর্মীর কর্মসংস্থান বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওসব দেশ থেকে প্রবাসী আয়ও বেড়েছে। তবে সেটা ব্যাংকের মাধ্যমে না আসায় রেমিট্যান্সের সঙ্গে যোগ হচ্ছে না। অর্থাৎ হুন্ডি ও অন্যান্য উপায়ে দেশে আসছে প্রবাসী আয়ের অর্থ।

হুন্ডি ও প্রবাসী আয়ের অর্থ দেশে আসার অন্যান্য অবৈধ পথ বন্ধে কঠোর নজরদারি এবং নিয়ন্ত্রণ জরুরি বলে মন্তব্য করেছে সিপিডি।

সংস্থাটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের মে মাসের এখন পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০০ কোটি ডলার বেড়ে ৩ হাজার ২০০ কোটি ডলার স্পর্শ করেছে।

অন্যদিকে সরকারের উপর অভ্যন্তরীণ ঋণের বোঝা অব্যাহতভাবে বাড়ছে বলে মনে করছে সিপিডি। তাদের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি (প্রথম ৮ মাসে) মেয়াদে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৭০ শতাংশ বেশি সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ২৭ মে ২০১৭