অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, দারিদ্র বিমোচন এবং বর্তমান বাজেট

বাজেটের চ্যালেঞ্জ:

এবারের বাজেট বিগত যেকোন সময়ের বাজেটের চেয়ে আলাদা। বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অনেক বড় ঝুঁকি এসেছিল করোনা মহামারীর কারণে। সমগ্র পৃথিবীর অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছিল। মানুষের জীবনের ঝুঁকি ছিল। সেই অবস্থা থেকে আমরা কাটিয়ে উঠেছি আর ঠিক এই সময়ে শুরু হলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এর ফলে আমাদের অর্থনীতিতে পরিবর্তন এসেছে। সারা পৃথিবী জুড়ে অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করার জন্য প্রতিটা দেশ বিভিন্ন ধরনের ইনসেন্টিভ, ভর্তুকি ও স্টিমুলাস দিয়ে অর্থ প্রবাহ বৃদ্ধি করেছে। যখনই সামগ্রিক অর্থনীতিতে অর্থ প্রবাহ বৃদ্ধি পায় তখন অর্থের ক্রয় ক্ষমতা কমে যায়। এই অবস্থাকে আমরা ইনফ্লেশন বলে থাকি। ধরুন এক বছর আগে একটি বাজারের লিস্ট নিয়ে আপনি বাজারে গিয়েছেন আর সেই একই লিস্ট নিয়ে এক বছর পরে আপনি যখন বাজারে যাচ্ছেন তখন দেখছেন দুটোর মধ্যে ক্রয় মূল্যের অনেক পার্থক্য হয়েছে। অর্থাৎ আমাদের পকেট থেকে অধিক টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। একশত টাকার গায়ে একশত টাকাই লেখা আছে কিন্তু টাকার ক্রয় ক্ষমতা কমে যাচ্ছে।

সংকুচিত অর্থনীতিতে এটা সারা পৃথিবীতে একটি বড় সমস্যা। আমাদের দেশের অর্থনীতি আমদানি নির্ভর। আমরা কেবলই আমদানি থেকে বেরিয়ে রপ্তানির দিকে এগুচ্ছি। আমাদের আমদানি-রপ্তানির ব্যালেন্স এখনো সমন্বয় হয়নি। আমরা হয়তো ১০০ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের আমদানি করি আর আমরা ৭৫ বিলিয়ন ডলার সমমান রপ্তানি করি। এরকম আমদানি নির্ভরশীল অর্থনীতির দেশে যখন ইনফ্লেশন থাকে তখন ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি করলেও পণ্যের দামের সাথে সমন্বয় কঠিন হয়ে যায়। প্রতিটি সমাজের অর্থনীতি ও ক্রয় ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে সমাজকে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। নিম্ন এর ভিতরে অর্থনীতির ক্রয় ক্ষমতার উপর নির্ভর করে নিম্ন নিম্ন, নিম্ম উচ্চ, মধ্যম নিম্ন, মধ্যম উচ্চ, উচ্চ উচ্চ ও উচ্চ নিম্ন এই ৬টি ইকোনোমিক ক্লাসে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রত্যেকটি শ্রেণীতে বাজেটের যে ভাবনা এবং বাজেটের সুপ্রভাব সেটা পৌঁছানো খুব কঠিন। সবকিছু মিলে আমি বলব এই বছরের বাজেট খুবই ভাল হয়েছে। আমাদের দেশের অর্থনীতিতে ৭.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি যদি আনতে পারি তাহলে এটা অনেক বড় অর্জন আমাদের জন্য।

প্রত্যেকটি বাজেটের একটা অন্তর্নিহিত ভাবনা থাকে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যে দেশ স্বাধীন হয়েছে সে দেশে সংবিধানের চেতনায় বাজেট করতে হয়। সংবিধানের চেতনা হলো, দারিদ্র বিমোচন ও ধনী-গরিবের বৈষম্য কমানো। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যেহেতু আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা সবাই ভালো থাকবো এই বিবেচনায় আমরা দেশটাকে স্বাধীন করেছি। সেক্ষেত্রে ধনী-গরিবের বৈষম্য কমানোর প্রক্রিয়া বাজেটে থাকা বাঞ্চনীয়। অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি আনতে হবে।

দারিদ্র বিমোচন করতে হলে বিনিয়োগ থাকতে হবে। বিনিয়োগ ছাড়া মানুষের হাতে কাজ দেয়া সম্ভব না। বিনিয়োগ শিল্পখাতে ও সেবাখাতে হতে পারে। অর্থাৎ অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করার জন্য বিনিয়োগ অপরিহার্য। বিনিয়োগ হলে কর্মসংস্থান হবে। কর্মসংস্থান হলেই দারিদ্র বিমোচন হবে। আমাদের দেশে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য বাংলাদেশে ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি (বিডা) কে শক্তিশালী করা হয়েছে। এই বাজেটে অর্থনৈতিক ন্যায় বিচার রয়েছে যেমন পেনশন, প্রতিবন্ধীদের সাহায্য, বয়স্ক ভাতা, সামাজিক নিরাপত্তার জন্য বরাদ্দ, কৃষিতে ভর্তুকি ও অন্যান্য সহায়ক নীতিমালা গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কৃষিতে। এখন কৃষিতে যদি ভর্তুকি না দেয়া হয় তাহলে কৃষকের উৎপাদিত পণ্য বাজারে গিয়ে সঠিক মূল্য পাবে না। এইজন্য কৃষকের উৎপাদিত পণ্য মূল্য যাতে যথাযথ সমন্বয় হয় তার জন্য বাজেটে ভর্তুকি বৃদ্ধি করা হয়েছে। কৃষি হচ্ছে আমাদের অর্থনীতির প্রধান অবকাঠামো। অর্থনীতিতে জোয়ার কৃষি থেকেই আসতে হবে। ব্যাপক অর্থে বলতে গেলেই বাজেটের অনেকগুলো ভালো দিক রয়েছে যা কিনা আমাদের দেশের অর্থনীতিকে আরো উন্নয়নশীল করবে।

কৃষক কেন ন্যায্যমূল্য পায়না?

কৃষিকে লাভজনক,টেকসই,নিরাপদ করাই হলো কৃষি মন্ত্রণালয় এবং সরকারের লক্ষ্য। কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হলে কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের সঙ্গে আমাদের চাহিদা -সরবরাহ যতক্ষণ না পর্যন্ত পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে নির্ধারণ করা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত কৃষক ন্যায্য মূল্য পাবেনা। যেমন ধরুন আমাদের দেশে হঠাৎ করে পেঁয়াজ, মরিচ টমেটো এর দাম বেড়ে গেল অফ-সিজনে। একই পণ্য একসময় অনেক দাম আবার আরেক সময় মূল্য থাকে না। এখানেও উৎপাদনের সাথে আমাদের ডিমান্ড এর পার্থক্য ও বিভিন্ন মাসে কি পরিমাণ কনজামশন হবে সেটা নিরূপণ করে এর সাথে সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। সেই জন্য পোস্ট হারভেস্ট ম্যানেজমেন্টে সঠিকভাবে নজর দিতে হবে। তাহলে যখন উৎপাদিত ফসল বাজারে যাবে, তখন সরবরাহ বেশি থাকার কারণে দাম কমে যাবে। আবার অফ সিজনে কৃষকের কাছে ফসল নেই কিন্তু বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। এটাকে সমন্বয় করতে হলে পোস্ট হারভেস্ট ম্যানেজমেন্টে জোড় দিতে হবে। কৃষকের উৎপাদিত পণ্য ভ্যালু অ্যাডিশন করে যেন শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো কৃষকের ফসল উৎপাদনের জন্য যেসকল উপকরণের প্রয়োজন সেই উপকরণ গুলো আমাদের দেশে উৎপাদন করতে হবে এবং সেই সাথে কৃষি পণ্যের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণের জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। আমদানি করে নিয়ে এসে বর্তমান সময়ের জন্য হয়তো কৃষককে বাঁচিয়ে রাখতে পারছি। লাভ জনক, নিরাপদ, টেকসই কৃষি অর্থনীতির জন্য আমদানি নির্ভর কৃষি উপকরণ দিয়ে সম্ভব নয়। আমাদের দেশে কৃষি উপকরণ তৈরীর শিল্প কলকারখানা গড়ে ওঠার জন্য সরকারের এমন কিছু নীতিমালা করতে হবে। ইন্ডাস্ট্রি অ্যাট্রাক্টিভনেস বলে একটা কথা আছে যাতে কৃষিভিত্তিক শিল্প বিনিয়োগ অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়। একজন বিনিয়োগকারী কোথায় বিনিয়োগ করবে – রড-সিমেন্ট, ফার্মাসিটিক্যাল, হেলথকেয়ার, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, ট্যুরিজম, এগ্রোবেজ ইন্ডাস্ট্রি এই বিভিন্ন রকমের অপশন আছে। এই দ্বিধাদ্বন্দ্ব না করে বিনিয়োগকারী সবচেয়ে লাভজনক এবং আকর্ষনীয় বিনিয়োগ হতে পারে কৃষি সেক্টরে, কৃষি উপকরণ ম্যানুফেকচারিং তথাপি এগ্রোবেজ ইন্ডাস্ট্রি। সেই ধরনের প্রণোদনা ভর্তুকি ব্যবস্থাপনা যদি বাজেটে আনা যায় তাহলে বিনিয়োগকারীরা কৃষি সেক্টরে বিনিয়োগ করবে বা বিনিয়োগে আকৃষ্ট হবে। দেশীয় কৃষিভিত্তিক শিল্প কলকারখানার ব্যাপক জোয়ার সৃষ্টি হবে। কৃষিতে দারিদ্র বিমোচন হবে। কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম পাবে।

ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:

আমাদের দেশে কৃষকের ফসল উৎপাদনের জন্য যেসকল উপকরণের প্রয়োজন সেগুলো আমরা স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করছি এবং করব। কৃষকের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করার লক্ষ্যে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার প্রায় দুই যুগ আগে প্রতিষ্ঠিত হয়। উন্নতমানের হাইব্রিড ধানের বীজ, শাক সবজির বীজ এবং ফসল সুরক্ষার জন্য কীটনাশক, বালাইনাশক, ছত্রাকনাশক প্রয়োজন হয় এগুলো আমরা স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করবো এই লক্ষ্য নিয়ে আমরা যাত্রা শুরু করেছি। এছাড়াও আমরা কৃষকের উৎপাদিত পণ্য ক্রয় করছি (কন্ট্রাক্ট গ্রোয়িং এর মাধ্যমে হাইব্রিড বীজ উৎপাদন করে কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করছি) যার মাধ্যমে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার কৃষক বান্ধব কোম্পানি হিসেবে কৃষক সমাজে যথেষ্ট সমাদৃত হয়েছে। ইতিমধ্যে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার এর সবচেয়ে জনপ্রিয় ধানের বীজ “জনকরাজ” দিয়ে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধুকে শস্য চিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলে আমরা বাংলাদেশকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নিতে সক্ষম হয়েছি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে যতগুলো রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি নেয়া হয়েছে তার সবগুলোই ছিল শহরভিত্তিক। ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ারের অর্থায়নে এবং শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদের আহ্বায়ক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মাননীয় যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও অন্যান্যদের নেতৃত্বে আমরা এই প্রকল্পটি হাতে নিয়ে ছিলাম। এখানে আমাদের কোম্পানির উৎপাদিত ভিন্ন জাতের বীজ দ্বারা প্রায় ১৩ লক্ষ বর্গ ফিট জায়গাতে বঙ্গবন্ধুর মুখচ্ছবি নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলা হয়েছে শৈল্পিক জ্ঞান ও দেশপ্রেমের চেতনায়। এতগুলো বিষয়কে সমন্বয় করে সফলভাবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ শস্যচিত্রের মাধ্যমে আমরা আগের বিশ্ব রেকর্ড ভেঙ্গেছি। শৈল্পিক, নান্দনিক এবং বিজ্ঞানভিত্তিক দেশপ্রেমের চেতনায় এই অমর অসাধারণ শিল্প ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশে আমরাই সর্বপ্রথম স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কীটনাশক উৎপাদন করে কৃষকদের কাছে সরবরাহ করতে পেরেছি। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, চীন প্রায় একই সময়ে স্বাধীন হওয়া দেশ। চীনের অর্থনীতি ১৯৮০ সালে উম্মোচিত হয়েছে। সমগ্র পৃথিবীর ৭০ ভাগ কৃষি উপকরণ, পেস্টিসাইড ভারত ও চীন সরবরাহ করে। অথচ বাংলাদেশ ঔষধ শিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ৯৯ ভাগ ঔষধ আমাদের দেশে উৎপাদিত হয়। ৯৯ ভাগ ফসলের পেস্টিসাইড, কীটনাশক, ছত্রাকনাশক আমরা আমদানি করি। এটা একটা বিচিত্র ঘটনা। এখানে আইন ও নীতিমালার মধ্যে সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে।

আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা কৃষক প্রেমিক। আমি আশা করি এই সরকারের সময়ই নীতিমালা সংস্কার করে কৃষকের হাতে যেন এদেশের উৎপাদিত কৃষি উপকরণ পৌঁছায় সেই ব্যবস্থা বর্তমান সরকার গ্রহণ করবেন। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ এগ্রোকেমিক্যাল মেনুফেকচারারস অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি অ্যাসোসিয়েশন প্রস্তাবনা সরকার সুবিবেচনায় অনুমোদন দিয়েছেন যার প্রাতিষ্ঠানিকিকরণ সরকারের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আমাদের দেশে ফসলের জন্য যে পেস্টিসাইডগুলো প্রয়োজন সেগুলো আমাদের দেশেই উৎপাদন করতে পারব এবং কৃষকের চাহিদা মিটিয়ে আমরাও বিদেশে রপ্তানী করতে সক্ষম হব। ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার দেশের কৃষকের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

ওয়ান ফার্মা যাত্রা শুরু হয়েছে ২০১৫ সালে। আমরা মানুষের জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ উৎপাদন করে থাকি। আমরা anti –cancer ড্রাগ উৎপাদনের সিভিল ওয়ার্ক শেষ করেছি। কিছু মেশিন এসেছে, আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে আপনারা দেখতে পাবেন ওয়ান ফার্মা ক্যান্সারের মেডিসিন উৎপাদন করবে। ইতিমধ্যে আমাদের ঔষধ রপ্তানি করার সুযোগ হয়েছে। সম্প্রতি আমরা ইথিওপিয়াতে মাননীয় বাণিজ্যমন্ত্রী, ঔষধ শিল্প সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো উদ্যোগে আমরা একটি এক্সপোতে অংশগ্রহণ করেছি। আফ্রিকার অনেকগুলো দেশ আমাদের সাথে যোগাযোগ করছে। এসব দেশে নতুন করে ঔষধ রপ্তানির সুযোগ উন্মোচিত হবে। এশিয়ার কয়েকটি দেশে ওয়ান ফার্মার ঔষধ রপ্তানি হয়েছে। আমি আশা করি ইনশাআল্লাহ আমাদের দেশীয় বাজারে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ওয়ান ফার্মা একটি গুরুত্বপূর্ণ ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানি হিসেবে পরিচিত হবে।

কৃষিবিদ কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান
ব্যবস্থাপনা পরিচালক
ওয়ান ফার্মা ও ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার গ্রুপ