অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশ উন্নয়নের রোল মডেল: প্রতিমন্ত্রী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারন করার কারণেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে। সব ধর্মের মানুষ এখন সাহসিকতার সাথে বসবাস করছে।’

তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর স্বাধীনতাবিরোধী চক্র সাম্প্রদায়িকতা দিয়ে দেশকে বিভক্ত করতে চেয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে তারা বাংলাদেশকে ব্যর্থ করতে চেয়েছিল। সাম্প্রদায়িকতা দিয়ে আমাদের শাসন-শোষণ করতে চেয়েছিল, আসলে মুক্তিযুদ্ধকে অপমাণিত করতে চেয়েছিল। তারা আমাদের গর্ব ও অহংকারের জায়গা মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করেছিল। আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ পরিচালিত হচ্ছে।’

মঙ্গলবার দিনাজপুরের বিরল উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ‍্যে পূজামণ্ডপ কমিটির নেতাদের সাথে মতবিনিময় সভায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী এই সব কথা বলেন। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘অতীতে যেই ভয় ভীতি নিয়ে দুর্গাপূজা উদযাপন হত, এখন সেই ভয় ভীতি নেই। কারণ যারা ভয়-ভীতি দেখাত, এসব অপকর্ম করত, তাদেরকে আমরা নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছি।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে যেভাবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাসকে লালন-পালন করা হয়েছিল। যেভাবে শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাইদের তৈরি করা হয়েছে, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের লালন-পালন করা হয়েছে, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের লালন পালন করে সমাজ ও রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল; তার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে সামর্থ দেখিয়েছে তা পৃথিবীতে বিরল ঘটনা। সেজন্যই আজকে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ সাহসিকতার সঙ্গে বসবাস করতে পারে। এ শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ অসাম্প্রদায়িক চেতনার কারণেই বাংলাদেশ পৃথিবীর বিস্ময়কর অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল যেটা ২০১৫ সালের মধ্যে হওয়ার কথা ছিল, আমরা ২০১৪ সালেই তা অর্জন করেছিলাম। আমাদের এসডিজি ২০৩০ সালে অর্জন করার কথা; কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি ২০২৬-২৭ সালের মধ্যেই আমরা এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারব। আমাদের অগ্রগতি সবচাইতে বেশি হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তাকে সম্মানিত করা হয়েছে।’ খবর-ইউএনবি

আজকের বাজার/আখনূর রহমান