অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফর হবে

নানা সংশয় ও আশঙ্কার মধ্যেই অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে আশাবাদ শোনালেন দলটির সাবেক অধিনায়ক মার্ক টেলর। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) গুরুত্বপূর্ণ বোর্ড সদস্য বলেছেন, তিনি আশাবাদী সফর হবে, হবে অ্যাশেজও।

ক্রিকেট ডটকম ডটএইউ এর এক খবরে বলা হয়েছে, এই বোর্ড সদস্য কেবল আশাবাদই ব্যক্ত করেন নি, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন বোর্ডের পরিকল্পনায় থাকা পরবর্তী সবগুলো টেস্ট সিরিজই যথা সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।

আর তাই যদি হয় তবে আসছে ১৮ আগস্ট ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিতে পারে অসি ক্রিকেটাররা।

তবে টেলর বলেন, দ্রুত সব মতপার্থক্য দূর হয়ে যাবে, আমাদের ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে। সবকিছু সমাধান করে ফেলতে হবে। আশা করি, সেটা আমরা দ্রুত করেও ফেলব। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, অ্যাশেজের জন্য দল গড়তে আমাদের সমস্যা হবে না। আমি এ ব্যাপারেও বেশ আশাবাদী, মাত্র এক মাস দূরে থাকা বাংলাদেশ সফরেও আমরা দল পাঠাতে পারব।

উল্লেখ, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে দেশটির ক্রিকেটারদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৩০ জুন। এর পর থেকেই অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের সদস্যসহ প্রায় ২৭০ ক্রিকেটাররা কার্যত বেকার হয়ে যান। বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট এই অচলাবস্থার কবে নাগাদ শেষ হবে তা নিশ্চিত করা কিছুই বলা যাচ্ছে না।

সমঝোতা চুক্তি না হওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা সফর বাতিল করে অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দল।

আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে অস্ট্রেলিয়া মূল দল টেস্ট খেলতে আসবে বাংলাদেশে। তবে দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে চুক্তির অনিশ্চয়তার কারণে বাংলাদেশে মূল দল আসতে পারবে কিনা তা নিয়ে নিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

অস্ট্রেলীয় সংবাদ মাধ্যম এবিসি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ১০ আগস্ট অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের ডারউইনে সমবেত হওয়ার কথা। সেখানে অনুশীলন শেষে ১৮ আগস্ট ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে অসিদের। হাতে দেড় মাস সময় থাকলেও এই সফর নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

খবরে বলা হয়েছে, বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি না হলে খেলোয়াড়েরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বদলে ঘরোয়া লীগগুলোতে খেলবেন। আগামী ৪ আগস্ট থেকে শুরু হবে ক্যারিবীয় লীগ সিপিএল। চলবে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। অথচ এই সময়টাতেই বাংলাদেশে আসার কথা অসিদের।

তাই চুক্তির বিষয়ে এর মধ্যে কোনো সুরাহা না হলে বাংলাদেশ সফর বাদ দিয়ে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা সিপিএল খেলতে চলে যেতে পারেন বলে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে।

২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর ২০০৬ সালে রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফর করেছিল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দল। এরপর ১০ বছরের বেশি সময় পার হলেও টেস্ট র্যাং কিংয়ের সামনের কাতারের দলটির বিপক্ষে আর কোনো টেস্ট খেলা হয়নি টাইগারদের।

২০১৫ সালের অক্টোবরে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে দুইটি টেস্ট খেলার জন্য অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরের কথা ছিল। কিন্তু সেবার নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ইস্যু করে সে সফর বাতিল করে নেয় দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।

এরপর দেশের মাটিতে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ। সে টুর্নামেন্ট থেকেও নিজেদের দল প্রত্যাহার করেছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ আয়োজন করে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার উদাহরণ তৈরি করে বাংলাদেশ।

ওইসব টুর্নামেন্ট এবং সিরিজের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকে নজর দিয়ে বার বার অস্ট্র্রেলিয়াকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে আসছিল বিসিবি। অবশেষে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে নিশ্চয়তা দেয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।

আজকের বাজার:এলকে/ এলকে/ ১১ জুলাই ২০১৭