‘আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জনমতের প্রতিফলন ঘটেছে’

সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে দেশের জনমতের প্রতিফলন ঘটেছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যদি এই রকম অবাধ সুষ্ঠ হয় তাহলে বিএনপি এবং ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে আওয়ামী লীগ বা ১৪ দলীয় জোটের তফাৎ হবে ৭৫ শতাংশ অর্থাৎ বিএনপি ৭৫ শতাংশ আওয়ামী লীগ ২৫ শতাংশ। এটাই হল সত্যিকারের বর্তমান জনমত।

তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বার আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে তারা (আওয়ামী লীগ) অনেক চেষ্টা করেছে কারন তারা কোনদিনই জিততে পারে না শুধু একবার তারা সভাপতির পদটা পেয়েছিল। এ বছরের নির্বাচন আমাদের জন্য সাংঘাতিক তাৎপর্যপূর্ণ। সরকারের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। নাম বলবো না সরকারের অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দ চেষ্টা করেছেন এই নির্বাচনের হাওয়া উল্টাতে এবং জয়লাভ করতে। কিন্তু তারপরও তারা পারেননি। কারণ এই নির্বাচনে কোন কারচুপি হয়নি, সুষ্ঠ হয়েছে।

শুক্রবার (২৩ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জিয়া নাগরিক ফোরাম (জিনাফ) আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং আগামী জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে করার দাবিতে প্রতিবাদী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

যে দেশে গণতন্ত্র নেই, ন্যায়বিচার নেই, উন্নয়নশীল দেশের এ তকমা অর্থহীন এমন মন্তব্য করে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, আজ দেশে গণতন্ত্র নেই মানুষের কথা বলার অধিকার নেই, নির্বাচিত সংসদ নেই অথচ তকমা লাগানো হয়েছে উন্নয়নশীল দেশের। আসলে উন্নয়নশীল দেশের এ তকমা অর্থহীন। এমন উন্নয়নে দেশের মানুষ কোনভাবে সম্পৃক্ত হতে চায় না। কারণ গণতন্ত্র ছাড়া কখনও সত্যিকারের  উন্নয়ন সম্ভব নয়।

মওদুদ বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে আরও ৭ থেকে ৮ বছর আগে আমরা এই উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেতাম। এই সরকারের লুটপাট, দুর্নীতি আর কুশাসনের ফলে আজকে এই স্বীকৃতি পেতে বিলম্বিত হয়েছে। তাদের(সরকারের) এখানে কোন অবদান নেই।

দেশের মানুষের ধৈর্য্য রাখার সীমা পেরিয়ে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, অবৈধ সরকার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো আরও একটি ভোটবিহীন নির্বাচনের দিবা স্বপ্ন দেখছেন। তাদের এই স্বপ্ন কোনদিনও বাংলাদেশে আর বাস্তবায়িত হবে না। সব কিছুর একটা সীমা আছে, এই সরকার সেটা পেরিয়ে গেছে।

ব্যারিস্টার মওদুদ আরও বলেন, আমরা এখন শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছি। একটা সময় আসবে যদি এই সরকার সমঝোতায় না আসে তখন রাজপথ ছাড়া আমাদের অন্য কোন বিকল্প থাকবে না।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি লায়ন মিয়া মোহাম্মাদ আনোয়ারের সভাপতিত্বে এনডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈশার সঞ্চালনায় প্রতিবাদী সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবি এম মোশাররফ হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রতমাতুল্লাহ, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।

এমআর/