আগামীকাল শুরু হচ্ছে অফিস-আদালত

পবিত্র ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটি শেষে রাজধানীতে ফিরছে নগরবাসী। আগামীকাল রোববার থেকে শুরু হচ্ছে সরকারি অফিস, আদালত, ব্যাংক, বীমাসহ সব প্রতিষ্ঠান।
ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবস রোববার অফিসে যোগদানের জন্য দেশের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে আজ সারাদিন বিপুল সংখ্যক মানুষ ঢাকায় ফিরেছেন। দেশের বাড়িতে ঈদ উদযাপন শেষে পরিবার-পরিজন নিয়ে গতকাল শুক্রবার রাতেও ফিরেছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, সদরঘাট, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঈদ ফেরত মানুষের বিপুল ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
আজ ভোরে গাবতলীতে যশোর থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকায় ফেরা মামুনুর রশীদ নামের এক যাত্রীর সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। রাজধানীতে একটি বেরসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মামুনুর রশীদ বাসস’কে জানান, তিনি স্ত্রী-সন্তানসহ চারজন নিয়ে শুক্রবার রাত ১১টায় সোহাগ পরিবহনের একটি কোচে যশোর থেকে রওয়ানা দিয়ে ভোর সাড়ে ৪টায় ঢাকায় পৌঁছেছেন। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে খুব নির্বিঘœ ও স্বস্তিতে তাদের কোচ পার হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে ঈদের চতুর্থ দিনেও আজ অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়ি এবং অন্যান্য স্থানে যাচ্ছেন। ঈদের আগে যারা ঢাকা ছাড়তে পারেন নি বা যাননি তাদের অনেকেই এখন প্রিয়জনের সান্নিধ্য পেতে বাড়ির পথ ধরছেন। তবে রাজধানীতে আজও ছিল ঈদের আমেজ। ঈদের সরকারি ছুটি বৃহস্পতিবার শেষ হলেও শুক্রবার ও শনিবার দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটির কারণে চিরচেনা ঢাকার অচেনা চিত্রটিই আজও অনেকটা বিদ্যমান ছিল।
গতকাল শুক্রবারের তুলনায় আজ ঢাকা শহরে যানবাহনের সংখ্যা একটু বেশি ছিল। দোকানপাট, বিপণিবিতান, হোটেল- রেস্তোরার বেশির ভাগই আজও বন্ধ ছিল। কিছু কিছু কাঁচা বাজার খুললেও পণ্যসামগ্রী ছিল খুব কম। সেগুন বাগিচা কাঁচাবাজারের একজন সবজি দোকানদার জানান, এ অবস্থা আরও দু-তিন দিন থাকবে। ঢাকার ব্যাস্ততম এলাকা মতিঝিল ও তোপখানা রোডের হোটেল- রেঁস্তোরা দোকানগুলো আজও বন্ধ দেখা গেছে।
বিআইডব্লিওটি-এর সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার ১০০টিরও বেশি লঞ্চ সদর ঘাট থেকে ছেড়ে গেছে, যা স্বাভাবিকের চেয়েও তুলনামূলক বেশি। অন্যদিকে বরিশাল থেকে যে লঞ্চগুলো আজ সদর ঘাটে এসেছে তাতে যাত্রী সংখ্যা মোটামুটি বেশি ছিল। কমলাপুর রেল স্টেশনে আসা বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনেও নগরবাসীদেও ফেরার চিত্র দেখা যায়। এবার স্বস্তির সঙ্গেই ফিরছেন বলে অনেকে জানিয়েছেন। শুক্রবার রাত আজ সারাদিন দেশের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে দুরপাল্লার বাসে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঢাকায় ফিরেছেন।
অন্যদিকে ঈদের চতুর্থ দিনেও রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়। ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে রাজধানীর জাতীয় চিড়িয়াখানা, শিশুমেলা, ফ্যান্টাসি কিংডম, বলধা গার্ডেন, আহসান মঞ্জিল, লালবাগ কেল্লা, জাতীয় সংসদ ভবন চত্বর, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, যমুনা ফিউচার পার্ক, নন্দন পার্কসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে অভিভাবকরা শিশুদের নিয়ে ভিড় করেছেন।
গত তিন দিনের মতো আজও সকাল থেকেই ঈদ আনন্দ উদযাপনে মুখর ছিল রাজধানী ও আশেপাশের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র। পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নগরবাসী।