আগামী ২৪ ঘন্টায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে

আগামী ২৪ ঘন্টায় সারাদেশের বিভিন্ন অংশে বিরাজমান বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র শনিবার জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টায় কুশিয়ারা এবং দেশের দক্ষিণাঞ্চলের নদীসমূহ ছাড়া সকল প্রধান নদ-নদীর পানি হ্রাস পেতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে দক্ষিণ-পূর্বাচল এবং দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলে আগামী ২৪ ঘন্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের ৯৩টি পানি সমতল স্টেশনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় দেশের ৩২টি পয়েন্টে নদ-নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়েছে। ৫৯টি স্টেশনে হ্রাস পেয়েছে, ১৮টি পয়েন্টে নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি নদীর পানি।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, সুরমা, কুশিয়ারা, তিতাস, ধরলা, ঘাঘট, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, গৌড়, আত্রাই, ধলেশ্বরী ও পদ্মা নদীর পানি ১৮টি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে ৩৮ সেন্টিমিটার, ফুলছড়ি পয়েন্টে ৪১ সেন্টিমিটার, সারিয়াকান্দি পয়েন্টে ১৯ সেন্টিমিটার, কাজিপুর পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার ও সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ধলেশ্বরী নদী এলাশিয়া পয়েন্টে ৪১ সেন্টিমিটার, ধরলা নদী কুড়িগ্রাম পয়েন্টে ১৯ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদী গাইবান্ধা পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদ চিলমারী পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার, সুরমা নদী কানাইঘাট পয়েন্টে ৪১ সেন্টিমিটার, সিলেটে ৮ সেন্টিমিটার ও সুনামগঞ্জ পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা নদী অমলশীদ পয়েন্টে ৪৪ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার ও শেরপুর-সিলেট পয়েন্টে ২৮ সেন্টিমিটার, তিতাস নদী ব্রাহ্মণবাড়িয়া পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার, আত্রাই নদী বাঘাবাড়ি পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার, গৌড় নদী সিংড়া পয়েন্ট ৮ সেন্টিমিটার এবং পদ্মা নদী গোয়ালন্দ পয়েন্টে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে গত ২৪ ঘন্টায় কক্সবাজারে ৯১ মিলিমিটার, যশোরে ৭৪ ছাতকে মিলিমিটার, জরিয়াজাঞ্জাইলে ৭৩ মিলিমিটার, দুর্গাপুরে ৪৮ মিলিমিটার মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

বন্যা পূনর্বাসনে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বন্যা উপদ্রুত এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে এবং বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিংয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে জেলা পর্যায়ে মেডিকেল টিম এবং জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ত্রাণ কার্যক্রম তদারকি করা হচ্ছে। তথ্য-বাসস।

আজকের বাজার/এমএইচ