আজ বিশ্ব পানি দিবস। ‘পানির জন্য প্রকৃতি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও আজ দিবসটি পালিত হচ্ছে। তবে আগামী ২৭ মার্চ বাংলাদেশে সরকারিভাবে দিবসটি পালন করা হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। পানি দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী প্রদান করেছেন বলে বাসস সূত্রে জানা গেছে।
রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে জানান, পানি প্রকৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। পানিই পৃথিবীকে বাঁচিয়ে রেখেছে, বাসযোগ্য রেখেছে। বলতে গেলে পানি ছাড়া প্রকৃতি, জীবন ও সভ্যতা অচল। কিন্তু নিরাপদ পানির প্রাপ্যতা ও সুষ্ঠু ব্যবহারের অভাবে প্রকৃতি তার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য হারাচ্ছে এবং জীববৈচিত্র্যও হুমকির মুখে পড়ছে। এ সমস্যা নিরসনে দরকার প্রকৃতিনির্ভর পানি ব্যবস্থাপনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রকৃতিনির্ভর পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের ও ২০৪১ সালের আগেই উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে দৃশ্যমান অগ্রগতি সাধিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, দিবসটি পালনের মাধ্যমে পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে সবার সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।
বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে সরকারের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর, এনজিও ফোরাম ফর ড্রিংকিং ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যানিটেশন, ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিশ্বব্যাংকের ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন প্রোগ্রাম সম্মিলিতভাবে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভা এ দিনটিকে পানি দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে জাতিসংঘ পরিবেশ ও উন্নয়ন সম্মেলনের (ইউএনসিইডি) এজেন্ডা ২১-এ প্রথম বিশ্ব পানি দিবস পালনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবটি উত্থাপিত হয়।
এমআর/