আনন্দে উৎসবে চলছে ঈদ উদযাপন

দীর্ঘ এক মাসের সিয়াম সাধনার পর ঈদ এসেছে আনন্দের বারতা নিয়ে। আর সেই আনন্দে মেতেছে পুরো দেশ। আনন্দ-উৎসব আর যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আজ শনিবার সারা দেশে উদ্‌যাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর।

সকালে ঈদের নামাজের পর চলছে শুভেচ্ছা বিনিময়। সবাই যার যার মতো করে পাড়াপ্রতিবেশি, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সাক্ষাত করছে। চলছে পিঠা-পায়েস খাওয়া।

ঈদ উপলক্ষে রাজধানীকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপে টাঙানো হয়েছে রংবেরঙের পতাকা। পাশাপাশি সব সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা ও ঈদ মোবারকখচিত পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

ঈদ উপলক্ষে হাসপাতাল, জেলখানা, ভবঘুরে কেন্দ্র, বৃদ্ধাশ্রম ও শিশুসদনে আজ বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশের সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিওগুলো আয়োজন করেছে কয়েক দিনব্যাপী ঈদ অনুষ্ঠানের।

রাজধানীতে মাঝরাতে ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি হলেও সকালে তার ছিঁটেফোটাও ছিল না। রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে অনুকূল পরিবেশে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সকাল সাড়ে আটটায় হাইকোর্ট-সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব এতে ইমামতি করেন। এতে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এছাড়াও মন্ত্রী, দেশের সুনামধন্য ব্যক্তিবর্গ, সচিব, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিগণ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, সরকারি ও সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্তন কর্মকর্তাবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিপুলসংখ্যক মানুষ প্রধান জামাতে শরিক হন।

নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

এ ছাড়া রাজধানীতে আরও ৪০৮টি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

এর আগে ঈদগাহে প্রবেশের সময় নিরাপত্তার জন্য জায়নামাজ ছাড়া অন্য কোন জিনিস সঙ্গে নিয়ে মুসল্লিদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এছাড়াও মাঠের চারদিকে পুলিশ-র‌্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছিলেন।

ঈদে প্রতি বছরের মতো এবারও সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়।

ঈদ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে ও প্রধানমন্ত্রী গণভবনে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।