আপনার পাঁচটি বদভ্যাস বাড়িয়ে দিচ্ছে খরচ

আপনারা আয় এবং ব্যায়ের মাঝে সামঞ্জস্য রাখতে না পেরে অনেকেই দিশেহারা হয়ে পড়েন। কি করবেন, কি করবেন ভেবেই জীবন পার। এই সমস্যা এর পেছনে বেশীরভাগ সময়েই কিছু বদভ্যাস দায়ী থাকে। জেনে নিন, খরচ বাড়ানো এসব বদভ্যাস আপনার নেই তো?

এই সমস্যার একমাত্র সমাধান হলো টাকা জমানোর দিকে মনোযোগ দেওয়া। যেমন, বাইরে একবেলা খেতে যাওয়ার পরিবর্তে আপনি বন্ধুকে বাড়িতে দাওয়াত করতে পারেন বা বিকেলে চায়ের জন্য বের হতে পারেন। টাকা জমানোর ক্ষেত্রে এই ছোট ছোট কাজগুলোই কাজে আসবে।

১) আপনি আবেগের বশে টাকা খরচ করেন

অনেকেই খুব স্ট্রেসে থাকলে মুখরোচক খাবার খেতে পছন্দ করেন। কেউ আবার টেনশন, রাগ, দুঃখ কমাতে কেনাকাটা করেন। নিজের মন ভাল রাখতে মাঝে মাঝে কেনাকাটা করা যায়, কিন্তু তা অভ্যাসে পরিণত হলেই সমস্যা। কারণ এমন অভ্যাসে লাগামছাড়া কেনাকাটা করে ফেলেন অনেকে। পরে সেই অতিরিক্ত খরচের কারণে পস্তাতে হয়।

আবেগের বশে খরচ কমানোর সবচাইতে ভালো উপায় হলো, আবেগ নিয়ন্ত্রণের অন্য কোনো উপায় বের করা। এক্ষেত্রে পরিবার বা বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো কাজে আসতে পারে, কারণ আপনি অযথাই কেনাকাটা করতে গেলে তারা বাধা দেবে এবং আপনাকে বুঝিয়ে বলবে এত খরচ করার প্রয়োজন নেই।

২) আপনি সর্বদা খরচের দুশ্চিন্তায় থাকেন

কেউ কেউ দুশ্চিন্তা দূর করতে খরচ করেন। কেউ আবার খরচ নিয়েই দুশ্চিন্তায় থাকেন। আয়-ব্যায় নিয়ে কিছু মানুষ এতই চিন্তিত থাকেন যে সকালে ঘুম থেকে উঠেই অ্যাকাউন্ট ব্যালান্স চেক করেন, আবার ঘুমাতে যাওয়ার আগে একবার চেক করেন।

খরচ নিয়ে এত দুশ্চিন্তা জীবনকে বিষিয়ে তোলে। এত দুশ্চিন্তা না করে কাছের কোনো মানুষের সাথে এ বিষয়ে কথা বলুন। তাহলে একদিক থেকে যেমন আপনার দুশ্চিন্তা কমবে তেমনই ভালো কিছু উপদেশও পেতে পারেন।

৩) আপনি লুকিয়ে খরচ করেন

স্বামী বা স্ত্রীর কাছে ছোটখাটো মিথ্যা বলেন অনেকেই। কিন্তু খরচের ব্যাপারটা যদি জীবনসঙ্গীর কাছ থেকে লুকিয়ে থাকেন, তার মানে আপনি কিছুটা হলেও জানেন খরচ করাটা উচিত হয়নি। সেই অপরাধবোধ থেকেই তার থেকে লুকাচ্ছেন আপনি। এই কাজটি যেমন সম্পর্কে ফাটল ধরায়, তেমনি আপনার অর্থনৈতিক অবস্থাও খারাপ করে।

এর সমাধান কী? কখনোই সঙ্গীর থেকে খরচ বা কেনাকাটার তথ্য লুকাবেন না। দামী কিছু কিনতে হলে দুজনে মিলে পরিকল্পনা করুন ও টাকা জমান। এ ছাড়া দামী কিছু কিনতে হলে দুজনে মিলে সিদ্ধান্ত নিন।

৪) আপনি সময়মত বিল পরিশোধ করেন না

আপনার অনেকগুলো বিল জমে আছে, কিন্তু তা পরিশোধ করছেন না আপনি। ব্যাপারটা কোনোদিক দিয়েই আপনার উপকারে আসবে না। সময়ের সাথে এসব বিল নিয়ে মাথাব্যথা বাড়বে, কমবে না। এ কারণে দাঁতে দাঁত চেপে হলেও বিল পরিশোধ করার কাজটি আপনার শেষ করতে হবে।

বিল নিয়ে চিন্তিত থাকলে সবগুলো বিল নিয়ে বসুন এবং মোট খরচের একটি হিসাব করুন। সবার প্রথমে ছোট ছোট বিলগুলো পরিশোধ করুন। এরপর বড় খরচের দিকে হাত দিন।

৫) খরচের পেছনে ‘ভয়’ কাজ করে

‘আবার যদি না পাই’ এই ভয়ে অনেকে দামী পণ্য কিনে ফেলেন। ‘আবার যদি ছুটি না পাই’ এই ভয়ে বেড়াতে যাওয়ার সময়ে অনেক খরচ করা হয়ে যায়। ‘আবার যদি দেখা না হয়’ এই ভয়ে ছুটির দিনে বন্ধুবান্ধবের সাথে অনেক টাকা ওড়ানো হয়। এধরনের ‘ভয়’ থেকে অনেকেই খরচ করে ফেলেন।

আজকের বাজার/আরআইএস