আফগানিস্তানের নির্বাচনে ১৭০ জনের মতো হতাহত হয়েছে

নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি ভেদ করেই নাশকতা চালাল তালেবানরা। সেনা সতর্ক হলেও নির্বাচন ঘিরে রক্তপাত, প্রাণহানি ঠেকানো গেল না। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, আফগানিস্তানে তালেবান হামলায় ৫ সেনা জওয়ান নিহত হয়েছেন। জখমের সংখ্যা ৪০–এর কম নয়। আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ব্যাঘাত ঘটানোর লক্ষ্যে জঙ্গিরা দেশজুড়ে একাধিক হামলা চালিয়েছে। পরপর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে গোটা দেশ। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার সময় এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এদিন ৬৮টি হামলা চালিয়েছে তালেবানরা।

জানা গিয়েছে, তালেবানদের পক্ষ থেকে আগেই হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তাহলে তা প্রতিরোধ করা গেল না কেন?‌ উঠছে প্রশ্ন। নির্বাচন ঘিরে রাজধানী কাবুল আংশিক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। প্রচুর সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল রাজধানীতে। শহরে কোনও ট্রাক ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তার মধ্যেই ভোটারদের টার্গেট করে, রাজধানী শহরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। জঙ্গি সংগঠনের দাবি অনুযায়ী, এই ভুয়ো নির্বাচন বানচাল করতেই হামলা চালানো হয়েছে।

এদিকে দক্ষিণাঞ্চলীয় কান্দাহারে বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। ভোটগ্রহণ শুরুর প্রায় দু’‌ঘণ্টা পর একটি ভোটকেন্দ্রে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ভোট দেওয়ার পর আশরাফ ঘানি বলেন, ‘শান্তি হচ্ছে আমাদের দেশের জনগণের প্রথম চাওয়া। শান্তির জন্য আমাদের রোডম্যাপ প্রস্তুত। আশাকরি, জনগণ আমাদের সুযোগ দেবে। যাতে আমরা দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারি।’

অন্যদিকে সংবাদসংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, আফগানিস্তানের নির্বাচনে প্রায় ১৭০ জনের মতো হতাহত হয়েছেন।

রাজধানী কাবুলের একটি ভোটকেন্দ্রের ভেতরে আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছেন বলে একটি সূত্রে খবর। যদিও কাবুলে হামলার কথা কোনওপক্ষই স্বীকার করেনি। নির্বাচন ঘিরে নানগরহর প্রদেশে ৮টি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত দু’‌জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ৩৭১ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের জন্য রবিবার পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন।

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান