‘আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারি, কিন্তু শত্রু নয়’

অভিযোগ করে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন,  ‘আমরা রাজনীতি করি, আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারি, কিন্তু শত্রু তো না। সরকার যেভাবে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আচরণ করছে, তা কোনোভাবে আশা করা যায় না। খালেদা জিয়াকে আপনারা ভয় পান বলেই এসব করছেন। কারণ, তিনি জনগণের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। তাঁকে মুক্ত করে আনার জন্য আইনি প্রক্রিয়ায় না হলে আমরা অন্য পন্থায় যাব।’

সোমবার( ৪ জুন) দুপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। তাঁকে মুক্ত করার জন্য যা করা প্রয়োজন, আমাদের তাই করতে হবে। তার জন্য সর্বোচ্চ যে পর্যায়ে যাওয়া প্রয়োজন, সেখানেই যেতে হবে।’

নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে এই সরকার। গণতন্ত্র শেষ, বিচার বিভাগ শেষ, পার্লামেন্ট তো আগে থেকেই নেই। শেয়ারবাজার, ব্যাংক লুট করেছে। এসবের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া আন্দোলন করছিলেন বলেই তাঁকে কারাগারে বন্দি করা হয়েছে। একটি পরিত্যক্ত কারাগারে বন্দি তিনি। সে কারাগারে আর কোনো কয়েদি নেই। তিনি অসুস্থ। তাঁকে বিশেষায়িত হাসপাতালে নেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন ডাক্তাররা। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি। চিকিৎসা দেওয়া হয়নি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ডাক্তার বলেছেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা যদি করা না হয় তাহলে তিনি প্যারালাইজড হয়ে যেতে পারেন,

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা আইয়ুব খান ও ইয়াহিয়া খানের শাসনের পতন করেছি। কিন্তু আজ আমাদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী। যারা ১৯৭৫ সালে গণতন্ত্র হরণ করেছিল এবং ১৯৮২ সালে যারা গণতন্ত্র হরণ করেছিল, তারা এক হয়েছে। তাদের পতন করতে হবে।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিমসহ অনেকেই।

আরজেড/