আমান কটনের আইপিও লটারি অনুষ্ঠিত হবে ৩ জুলাই

পুঁজিবাজার থেকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেড শেয়ারে আইপিও লটারি ৩ জুলাই মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে।

ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টায়, ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট, আইইবি মিলনায়তন, রমনা, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, কোম্পানিটির আইপিও আবেদন গত ৩ জুন থেকে ১০ জুন পর্যন্ত চলে। গত ৩ মে কোম্পানিটিকে আইপিও সাবস্ক্রিপশন শুরুর জন্য কনসেন্ট লেটার ইস্যু করবে বাংলাদেশ সিকিউরিটজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর আগে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৬২৯তম সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়।

এর আগে গত বছরের নভেম্বর মাসে আমান কটনের ইলেকট্রনিক বিডিং সম্পন্ন হয়। বিডিংয়ে ৪০ টাকা কাট অফ প্রাইস নির্ধারিত হয়। এর মধ্যে কাট অফ প্রাইসে যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের (ইআই) কাছে ১ কোটি ২৫ লাখ শেয়ার ইস্যু করা হবে। আর কাট অফ প্রাইসের ১০ শতাংশ কমে অর্থাৎ ৩৬ টাকায় ৮৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৩টি শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রি করবে কোম্পানিটি।

পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করা অর্থের একটি বড় অংশ দিয়ে কারখানায় আধুনিক মেশিনারি স্থাপন করা হবে। এতে ব্যয় করা হবে ৪৯ কোটি ৩৭ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। আইপিওতে উত্তোলিত বাকী অর্থ থেকে ১৭ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয় হবে ঋণ পরিশোধে। ওয়ার্কিং মূলধন হিসাবে ব্যয় করা হবে ১০ কোটি টাকা। আর আইপিওতে ব্যয় হবে সাড়ে ৩ কোটি টাকা। কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য হবে ১০ টাকা।

৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত হিসাব বছরের কোম্পানিটির স্থায়ী সম্পদের পুনর্মূল্যায়ণসহ নিট সম্পদ মূল্য হয়েছে ৩৫.৬৩ টাকা। বিগত ৫ বছরের আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি গড় আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩.৩৯ টাকা।

আমান কটন মূলত সুতা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। কটন, পলিস্টার, সিল্কসহ অন্যান্য ফাইবার উৎপাদন করে তারা। গাজীপুরের শ্রীপুরে অবস্থিত আমান কটন ফাইব্রাসের কারখানায় ২০০৬ সালে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়। আর ২০০৭ সালে পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক উৎপাদনে যায় তারা।

উল্লেখ, কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

আরএম/