আমীর খসরুর রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর দায়ের করা একটি রিট আবেদন আদালতের কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।

অর্থ পাচার ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে দেয়া নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই রিট দায়ের করেছিলেন এই বিএনপি নেতা।

বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রিটটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়ার এই আদেশ দেন।

আদালতে আমীর খসরুর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

পরে খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, রিট আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। আমার মনে হয় আবেদনটি শুনানি করতে চাননি বলেই এই আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে গত ১৬ আগস্ট দুদক আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে ২৮ আগস্ট হাজির হতে চিঠি পাঠান। চিঠিতে বলা হয়, বেনামে পাঁচ তারকা হোটেল ব্যবসা, ব্যাংকে কোটি কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনসহ মানিলন্ডারিং করে বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ নিজ নামে শেয়ার কেনাসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগও অনুসন্ধান করা হচ্ছে। পরে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এক মাসের সময় চেয়ে আবেদন করেন। এ অবস্থায় দুদক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্যকে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলেন। পরে গত ৩ সেপ্টেম্বর  দুদকের এই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

আজকের বাজার/এমএইচ