ইন্টারনেটে ১৫% ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি

ইন্টারনেট ব্যবহারে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জনিয়েছে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব)। ৭ জুন বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সোনাগাঁও হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন অ্যামটবের মহাসচিব টিআইএম নুরুল কবির।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রস্তাবিত বাজেটে সাধারণ কাস্টমারদের উপর বাড়তি ব্যয়ের বোঝা চাপানো হলেও কোনো প্রকার সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়নি। মোবাইল হ্যান্ডসেট, বিশেষ করে স্মার্টফোন আমদানির উপর চাপিয়ে দেওয়া বাড়তি কর সময়োপযোগী নয়।

“যেহেতু দেশীয় হ্যান্ডসেট উৎপাদনকারী শিল্প এখনো তেমস সুফল গ্রহণ করার উপযুক্ত হয়নি; ৯৫ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মোবাইল যন্ত্রের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে, সেহেতু নতুন আরোপিত ভ্যাট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধির পথে প্রতিবন্ধক হবে। সেইসঙ্গে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার রাজনৈতিক লক্ষ্য বাধাগ্রস্ত হবে।”

ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর ১৫ শতাংশ প্রত্যাহারসহ মোবাইল টেলিযোগাযোগ পরিকাঠামোর ওপর বাড়তি কর ও সিম ট্যাক্স বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানায় সংগঠনটি।

টিআইএম নুরুল কবির বলেন, টেলিযোগাযোগ শিল্পের উপর নির্ধারিত ৪৫ শতাংশ করপোরেট ট্যাক্স এই খাতে বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য একটি প্রধান অন্তরায়।অথচ অন্যান্য শিল্পের বেলায় দেখা যাচ্ছে-পাবলিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে তালিকাভুক্ত কি-না তার উপর নির্ভর করে ৩০-৩৫ শতাংশ করপোরেট ট্যাক্স প্রদান করা হচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে ভবিষ্যত বিনিয়োগ করার সুযোগ বাড়াতে আমরা করপোরেট ট্যাক্স কমিয়ে এনে অন্যান্য শিল্পের সঙ্গে সমতা বিধানের দাবি করছি।

সিমে ট্যাক্স ও রিপ্লেসমেন্ট ট্যাক্স প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বিগত ২০ বছরে এক লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে আমরা ইউনিক সীম ব্যবহারের মাত্রা ৫৪ শতাংশে আনতে পেরেছি। দেশে ৪৬ শতাংশ মানুষ এখনও তাদের জীবনে ডিজিটাল প্রযুক্তির সুফল থেকে বঞ্চিত। এ অবস্থায় সিমের উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট চাপিয়ে দেওয়া হলে সংযোগের বাইরের জনগোষ্ঠীর প্রযুক্তির সুফল ভোগ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।

অন্যান্য মোবাইল অপারেটরের প্রতিনিধিরা সংবা সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

আজকের বাজার : এলকে /এলকে ৭ জুন ২০১৭