ইমরান খান ৫ বছরের জন্য নির্বাচনে দাঁড়ানোর অযোগ্য

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে শুক্রবার পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এমন আদেশ দিয়ে বলেছে, তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন বিদেশী নেতাদের কাছ থেকে পাওয়া রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রির তথ্য গোপন করেন। তবে তার দল পিটিআই জানিয়েছে, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে চ্যালেঞ্জ করবেন। খবর এএফপি’র।
খানকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখার এমন সিদ্ধান্ত সর্বশেষ রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের আরেকটি মোড় যা তার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগেই শুরু হয়। তিনি এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হন। এটি হচ্ছে সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিক্রেট তারকা ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের লড়াই করা বেশ কয়েকটি আইনি লড়াইয়ের অন্যতম।
এমন আদেশ দেওয়ার পর ইমরান খানের অনেক সমর্থক পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের সদরদপ্তর ত্যাগ করার সময় বিভিন্ন যানবাহনে হামলা চালায়। গুলি করায় পুলিশ দলের এক নিরাপত্তা গার্ডকে গ্রেফতার করে।
খানের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের এমন পদক্ষেপ ঘোষণার পর দেশব্যাপী কমপক্ষে ১২টি স্থানে বিক্ষোভ করা হয়। রাজধানী ইসলামাবাদে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করায় পিটিআই’র সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়্যার গ্যাস নিক্ষেপ করে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এক ভিডিও বার্তায় খান সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তিনি এ মাসের শেষের দিকে রাজধানীতে একটি ‘লং মার্চ’ আয়োজনের জন্য সমর্থকদের ডাকবেন।
তিনি বলেন, ‘এখন আমি আপনাদের বিক্ষোভ বন্ধের অনুরোধ জানাচ্ছি কারণ এটি দেশের জনগণের জন্য বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি করছে এবং আমি চাই না আমার দেশ সমস্যায় পড়–ক।
খান বলেন, তিনি আদালতে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করবেন। নির্বাচন কমিশন দুর্নীতিগ্রস্থ হয়ে পড়ায় তিনি এ প্রতিষ্ঠানের কঠোর সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমার জন্য এটি রাজনীতি না, আমার জন্য এটি একটি জিহাদ।’
খান বলেন, পাকিস্তানে বর্তমানে একটি মাফিয়া সরকার ক্ষমতায় বসেছে। আর নির্বাচন কমিশন এই সরকারের অংশীদারে পরিণত হয়েছে।
প্রায়শই দেখা যায়, পাকিস্তানের আদালতগুলো আইনপ্রণেতাদের দীর্ঘ কার্যধারায় বেঁধে রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়। এভাবে রাজনৈতিক বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার জন্য মানবাধিকার কর্মীরা দেশটির কঠোর সমালোচনা করে থাকেন।