ইরানের ওপর বিশেষ নিষেধাজ্ঞা জারি করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

সৌদি তেল স্থাপনায় ভয়াবহ হামলা চালানোর অভিযোগে ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই এ ব্যাপারে ঘোষণা আসবে বলে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন।

গত শনিবার সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর দুটি বৃহৎ তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালানো হয়। ওই হামলার পর সৌদি আরবের তেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে।

হামলার পর ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিরা দায় স্বীকার করলেও যুক্তরাষ্ট্র স্যাটেলাইট থেকে তোলা হামলার ছবি প্রকাশ করে এর নেপথ্যে ইরান জড়িত রয়েছে বলে দাবি করে। যদিও ইরান এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

সাংবাদিকদের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমরা ইরানের ওপর খুবই বিশেষ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছি। এর আগে এক টুইটে তিনি জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন নুচিনকে ইরানের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার বাড়ানোর ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।

সামরিক অভিযান চালানো হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, সব পথই খোলা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘চূড়ান্ত পদক্ষেপের সম্ভাবনা তো আছেই। তার আগেও অনেক কিছু করার আছে।’ চূড়ান্ত পদক্ষেপ বলতে তিনি যুদ্ধকে বুঝিয়েছেন বলে জানান।

বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, তেল খনিতে হামলা আসলে ইরানের যুদ্ধ অভিযানেরই শামিল।

এখনও ইরানের পক্ষ থেকে কোনও বক্তব্য দেওয়া হয়নি। তবে এর আগে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগের জবাব দেয় তেহরান। তারা জানায়. যুক্তরাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, কোনও সামরিক আগ্রাসন চালানোর চেষ্টা করলে তাৎক্ষণিকভাবে পাল্টা জবাবের মুখে পড়তে হবে তাদের। সূত্র: সিএনএন

আজকের বাজার/এমএইচ