‘ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টিতে ব্যর্থ যুক্তরাষ্ট্র’

ইরানের পরমাণু সমঝোতা চুক্তি থেকে বের হয়ে দেশটির ওপর সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্রের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন সিনেটর বব মেনেন্ডেয। এছাড়া ইরাকের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে সেখানকার বাস্তবতা মেনে নিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এর আগে ২০১৮ সালের মে মাসে ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা চুক্তির বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্রকে সে চুক্তি থেকে একতরফাভাবে বের করে নেয় ট্রাম্প। এছাড়া দেশটির ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগসহ বিভিন্ন ধরণেও নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ট্রাম্পের এ পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে ও বাইরে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হওয়া ছাড়াও ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টির কার্যকরিতা নিয়েও ব্যাপক সন্দেহ দেখা দেয়।

ইরান বিরোধী মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মার্কিন কংগ্রেস সদস্যরা। মার্কিন সিনেটর বব মেনেন্ডেয বলেন, ইরাকের অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে সাম্প্রতিক সশস্ত্র হামলার জন্য ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া গ্রুপকে দায়ী করার পরিবর্তে ইরানের প্রতিরোধ শক্তিকে মেনে নেয়া উচিত ট্রাম্পের। বিষয়টি মেনে না নেয়া হলে মার্কিন সেনাদের চরম মূল্য দিতে হবে। এদিকে, ইরানের ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উপদেষ্টাদের নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন মার্কিন ডেমোক্র্যাট দলের সিনেটর ক্রিস মারফি। তিনি বলেন, এ ভ্রান্ত নীতি ইরানকে আরো শক্তিশালী করবে।  এক টুইটার বার্তায় মারফি আরো বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের নীতি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়া ইরানের প্রতি বিদ্বেষ ওই দেশটিকে আরো শক্তিশালী করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে দুর্বল করেছে।

ইরানের আইআরজিসি’র প্রধান জেনারেল কাসেম সোলায়মানি হত্যাকাণ্ডের সমালোচনা করে ডেমোক্র্যাট দলের এ সিনেটর বলেন, ইরানকে মোকাবিলা করতেই সোলায়মানিকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করা হলেও, বাস্তবে ইরানকে থামিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। এদিকে পর্যবেক্ষকরাও বলছেন, ইরানের ব্যাপারে মার্কিন নীতি ব্যর্থ হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের এ দুই কর্মকর্তার স্বীকারোক্তি থেকে বোঝা যায় যে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা তাদের সফলতার স্বপক্ষে বক্তব্য দিলেও, বাস্তবতা হচ্ছে ইরানের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো লক্ষ্যই আসলে অর্জিত হয়নি। অভ্যন্তরীণ কিংবা আঞ্চলিক অঙ্গনে আর্থ-রাজনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ চাপ মোকাবিলা করে এসেছে ইরান। সূত্র- পার্সটুডে

আজকের বাজার/শারমিন আক্তার