ঈদের পর বাজার দরে চলছে ওঠানামা

কোরবানির ঈদের পর খুলনায় চালের দাম বেড়েছে। অপরদিকে ইলিশের দাম কমেছে কেজিতে ২০০-৩০০ টাকা। কিন্তু সে তুলনায় সবজির দাম অনেকটা অপরিবর্তিত রয়েছে।

ইলিশের দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসায় ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি দেখা দিলেও চালের দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। ঈদুল আযহার পর মোটা ও মাঝারি চালের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে প্রায় দুই টাকা।

দাম কমায় বাজারে এসে ক্রেতারা আগে খোঁজ করছেন ইলিশের। ছুটির পর মাছ বাজারে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সবার দৃষ্টি যেন ইলিশের দিকে। আজ শুক্রবার মহানগরীর কেসিসি রূপসা পাইকারী মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ীরা জানান, গত মাসের  শুরুর দিকে ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রামের ইলিশ মাছের কেজি ছিল ৮০০-৯০০ টাকা। এখন একই টাকায় মিলছে এক কেজির ইলিশ। আড়তদার বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুর রহমান ঝন্টু বলেন, এখন ইলিশের মৌসুম। বাজারে প্রচুর ইলিশ। দাম কম হওয়ায় সাধারণ মানুষও ইলিশ কিনতে পারছেন।তিনি জানান, প্রতিদিন আড়তে ১০০ টন ইলিশ আসে। যা খুচরা ও পাইকারি ক্রেতারা কিনে নিয়ে যান।

মোজাহিদ ফিসের আড়তদার আবু মুসা বলেন, কোরবানির ঈদের পর ইলিশের দাম কমেছে। বাজারে এখন ইলিশের ছড়াছড়ি। এক মাসের ব্যবধানে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে কয়েকগুণ বেশি।  কোরবানির ঈদের পর ইলিশের দাম সব শ্রেণি-পেশার ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে আছে।

তিনি জানান, এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম ৮০০-৯০০ টাকায় এবং ৫০০ গ্রামের ইলিশ ৪৫০-৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতা নেছার উদ্দিন বলেন, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কিনেছি ৫০০ টাকা দরে। দাম কম হওয়ায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ইলিশ কিনতে পারছেন।

এদিকে খুলনায় চিকন চালের দাম কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও মোটা চালের দাম বেড়েছে। কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে জানা গেছে, প্রতিকেজি মোটা (স্বর্ণা) চাল ৪৫ টাকা, মাঝারি ২৮ বালাম ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, বাসমতি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, চিকন (মিনিকেট মানভেদে) ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ গেল কোরবানির আগে মোটা (স্বর্ণা) চাল ৪৩ টাকা, মাঝারি ২৮ বালাম ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা, বাসমতি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, চিকন (মিনিকেট মানভেদে) ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা দরে বিক্রি হয়।

ক্রেতাদের অভিযোগ নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের লোকজন মোটা চালের ওপর নির্ভরশীল। আর সেই চালের যদি দাম বাড়ে তাহলে তাদের কষ্ট বেড়ে যায়। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চালের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ক্রেতারা।

ক্রেতারা বলেন, সরকার চালের দাম ভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এরপরও চালের দাম কমছে না। চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে  প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

মুদি দোকানি আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা যে দামে চাল কিনি তার ওপরই লাভ রেখে বিক্রি করি। বেশি দামে কিনলে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

সুত্র:অর্থসূচক

আজকের বাজার: সালি / ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭