উন্নত বিশ্বে অবসরকালীন সঞ্চয় ঘাটতি ৪০০ লাখ কোটি ডলার

২০৫০ সাল নাগাদ অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, চীন, ভারত, জাপান, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বাৎসরিক অবসরকালীন সঞ্চয় ঘাটতি ৭০ লাখ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ৪০০ লাখ কোটি ডলারে পৌঁছাবে। এই অবস্থায় উন্নত বিশ্বে চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা ৭০ বছর হওয়া উচিত বলে মনে করছে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম।

সংস্থাটি সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও কানাডার মতো উন্নত দেশগুলোতে অবসরের বয়সসীমা ৭০ বছর করার সুপারিশ করেছে। সংস্থাটি বলেছে, ওই সব দেশের উচিত কর্মীদের ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত তাদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া। এর কারণ হিসেবে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম বলছে, ২০৫০ সাল নাগাদ উন্নত দেশগুলোর মানুষের গড় আয়ু ১০০ বছর ছাড়িয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ওই সময় নাগাদ বিশ্বে ৬৫ বছরের বেশি মানুষের সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ২১০ কোটির বেশি।

ফোরাম বলছে, ২০৫০ সাল নাগাদ অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, চীন, ভারত, জাপান, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের অবসরকালীন সঞ্চয় ঘাটতি ৭০ লাখ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ৪০০ লাখ কোটি ডলারে পৌঁছাবে। অর্থাৎ ওই সময় পর্যন্ত যত মানুষ অবসরে যাবেন তাদের জীবন নির্বাহের জন্য যে ব্যয় হবে তার তুলনায় ৪০০ লাখ কোটি ডলার ঘাটতি থাকবে। আর এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংস্থাটি অবসরের বয়সসীমা ৭০ করার পরামর্শ দিয়েছে বলে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে।

ফোরামের অর্থ ও অবকাঠামো ব্যবস্থার প্রধান মাইকেল ড্রেক্সলার বলেন, বিষয়টি আমাদের ভাবতে হবে। আমাদের গড় আয়ু বাড়ছে। শিশু মৃত্যুর হার কমেছে। এই অবস্থায় আমাদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার বিষয়টিও ভাবতে হবে। তার মতে শিশুমৃত্যু হার কমায় এবং গড় আয়ু বাড়ায় বিশ্বজুড়ে বেকার মানুষের সংখ্যা বাড়বে। এই অবস্থায় পরিবারের আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য রক্ষা না হলে ভবিষ্যত প্রজন্ম ভয়ংকর অবস্থার মুখে পড়তে পারে বলে হুশিয়ার করেছেন তিনি।

‘১০০ বছর আয়ু ও আমাদের সক্ষমতা’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্য ২০১৮ সাল নাগাদ অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর এবং ২০৪৬ সাল নাগাদ ৬৮ বছর করবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩০ বছর বয়সে যারা চাকরিতে প্রবেশ করছে তাদের ৭০ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত অবসরে যাওয়া উচিত নয়।

আজকের বাজার:এলকে/ এলকে/ ২৭ মে ২০১৭