উপনির্বাচনে ৩ আসনেই জিতলো মমতার তৃনমুল কংগ্রেস

পশ্চিমবঙ্গের উপনির্বাচনে তিনটি আসনের তিনটিতেই জয় পেল তৃণমূল। উল্টো ছবি বিজেপির। হাতছাড়া হল দলের রাজ্য সভাপতির খগড়পুর আসনটি।যে এনআরসি ইস্যুকে হাতিয়ার করে মোদী-শাহরা বাংলায় পদ্ম চাষের চেষ্টা করছেন তা ঘিরেও সংশয় থেকে গেল। অন্তত তিন আসনের উপনির্বাচনে ফলাফল সেটাই স্পষ্ট করল।

খড়গপুর সদর কেন্দ্র ছিল বিজেপির ‘সম্মানের লড়াই’। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ছেড়ে যাওয়া আসন ও ধরে রাখতে পারেনি বিজেপি ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়ের ব্যবধান ছিল ৬ হাজারের সামান্য কিছু ভোট ।পরে লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হন তিনি। জয় পান দিলীপবাবু। লোকসভার নিরিখে খড়গপুর সদর বিধানসভা গেরুয়া প্রার্থী এগিয়ে ছিলেন প্রায় ৪৫ হাজারের বেশি ভোটে। কিন্তু সেই কেন্দ্রেই ভরাডুবি হল বিজেপির। এই কেন্দ্রে বার তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকার জিতেছেন ২০ হাজার ৮১১ ভোটে।

কংগ্রেসের আস্থানা বলেই পরিচিত ছিল কালিয়াগঞ্জ। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জিতে কংগ্রেস। তবে লোকসভা ভোটের নিরিখে কালিয়াগঞ্জে বিরাট ব্যবধানে এগিয়ে যায় বিজেপি। প্রায় ৫৭ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল গেরুয়া দল। এবার সেখানেই কার্যত অস্তিত্ব সংকটে কংগ্রেস-বাম জোট। তৃণমূলের কাছে হেরে বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে। কালিয়াগঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী তপনদেব সিং জয় পেয়েছেন ২,৪১৪ ভোটের ব্যবধানে।

লোকসভায় করিমপুরে ভাল ফল হয়নি বিজেপির। কিন্তু, লোকসভার পর থেকে সীমান্ত কেন্দ্র করিমপুরে সংগঠন পোক্ত করতে মরিয়া হয় বিজেপি। প্রার্থীও করা হয় দলের রাজ্য সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারকে। তবে, তাতে সাফল্য মেলেনি। করিমপুরে লোকসভা ভোটে তৃণমূল এগিয়েছিল ১৩ হাজারের বেশি ভোটে। এবার তৃণমূল প্রার্থী বিমলেন্দু সিংয়ের ব্যবধান বেড়ে হল ২৪ হাজারের বেশি।

আজকের বাজার / ফজলুর রহমান