একান্ত সাক্ষাৎকারে যা বললেন শাকিব খান

ঢালিউডের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান বেশকিছু দিন কলকাতায় ছিলেন। সেখানে ‘ভাইজান এলো রে’ নামে নতুন ছবির কাজ করে গতকাল ঢাকায় ফিরেছেন তিনি। আর কলকাতায় থাকাকালীন ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার ‘আনন্দ প্লাস’-এ একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি এ অভিনেতা। আজকেরবাজার পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো-

কলকাতা কেমন লাগছে?

শাকিব: আমার তো কখনো আলাদা মনেই হয় না। মহিষাদলে যখন শুট করতে গেলাম, ওখানেও তো অনেক রাজবাড়ি আছে, তখনই আমার সঙ্গের লোকেদের বলেছিলাম, বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কোনও পার্থক্য ধরা পড়ে না আমার চোখে।

দুই দেশ তো একই ছিল…

শাকিব: সবই তো এক। ভাষা এক, কৃষ্টি-কালচার এক।

ওখানেও পহেলা বৈশাখ হয়, এখানেও হয় (হাসি)।

আপনাদের ওখানে তো পয়লা বৈশাখ খুব বড় করে হয়। এ বছর আপনার কী প্ল্যান?

শাকিব: ঢাকায় থাকব না তো। ‘ভাইজান’-এর শুটিংয়ে লন্ডনে যাব। গত দু-তিন বছর ধরেই এ রকম চলছে। এই সময়টায় আউটডোরগুলো পড়ছে। তবে পহেলা বৈশাখের সৌন্দর্য দেখতে হলে বাংলাদেশেই যাওয়া উচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার স্টুডেন্টরা আলপনা সাজায় রাস্তায় রাস্তায়…আনবিলিভেবল!

(‘ভাইজান’-এর পোস্টার শুটের মাঝেই ছেলে আব্রাহাম খান জয়কে নিয়ে এসেছিলেন শাকিবের প্রাক্তন স্ত্রী অপু বিশ্বাস। বছর দুইয়ের সুপারকিউট আব্রাহামকে নিয়ে মেতে উঠলেন শ্রাবন্তী, পায়েল, হিমাংশু ধানুকাসহ সেটের সকলেই।)

ছেলে তো খুব ছোট। আপনি এত আউটডোরে থাকেন, ও আপনাকে মিস করে না?

শাকিব: করে তো বটেই। আমিও ভীষণ মিস করি। কিন্তু কী করব। কাজ তো করতেই হবে…

আপনাদের দেখে কিন্তু বিচ্ছেদের কোনও তিক্ততা নজরে এল না…

শাকিব: সম্পর্ক থাক আর না থাক, অপু বিশ্বাস আব্রাহামের মা আর আমি ওর বাবা। ছেলের জন্য হলেও আমাদের দেখা হয়েই যায়। আসলে ওরা শিলিগুড়ি যাবে, একটা মানত ছিল, সেই কারণে। যাওয়ার পথে আমিই বললাম দেখা করে যেতে। অনেক দিন দেখিনি ছেলেকে, তাই।

বাংলার সুপারস্টার অর্থাৎ প্রসেনজিৎ, দেব, জিৎদের মাঝেও ধীরে ধীরে জায়গা করে নিচ্ছেন আপনি। কোথাও একটা টেক্কা দেওয়ার মনোভাব রয়েছে কি?

শাকিব: আমি এভাবে দেখি না। কো-প্রোডাকশনে কাজ করার ব্যাপারটা কিন্তু আজকের নয়। মিঠুনদা যখন ইয়ং সুপারস্টার ছিলেন, তখন ‘অন্যায় অবিচার’ করেছিলেন কো-প্রোডাকশনে। বাংলাদেশের সঙ্গে তো মুম্বইয়েরও যৌথ প্রযোজনা হয়েছে। গ্লোবালাইজেশনের যুগে আন্তর্জাতিক জায়গায় নিজেদের নিয়ে যেতে চাইলে বড় বাজেটের দরকার হয়। একা করতে গেলে অনেকটা ঝুঁকির ব্যাপার থাকে। দুই দেশ এক হলে তখন মার্কেটটা বড় হয়। ওভারসিজ মার্কেটটাও ধরা যায়।

দেব বা জিতের সঙ্গে আপনার দেখা হয় বা কথা হয়?

শাকিব: হ্যাঁ, হ্যাঁ!  যখন ওদেশের আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ছিলাম, তখন একবার ওরা সবাই গিয়েছিলেন। বুম্বাদা…জিৎ… তখন ভালো করে আলাপ হলো। তার পরেও দু’বার দেখা হয়েছে।

পয়লা বৈশাখে এখানে ‘কবীর’ আসছে। ক’দিন পরেই ‘দৃষ্টিকোণ’। ‘চালবাজ’ কতটা চাপে থাকবে?

শাকিব: ভারতে তো অনেক ভাষায় অনেক রকম ছবি হয়। অন্য ছবি রিলিজ করতেই পারে। দর্শকের যেটা ভাল লাগবে, সেটাই তো  তারা দেখবেন।

কমার্শিয়াল ছবির কাজই করছেন। অন্য ধারার ছবি নিয়ে কিছু ভাবছেন না?

শাকিব: অবশ্যই! এখন থেকে ঠিক করেছি এত ছবি করব না। হাতে গোনা ভালো প্রজেক্টই করব।

এস/