এক বছরের চালের মূল্য বৃদ্ধি ৩৫ শতাংশ,মানতে নারাজ অর্থমন্ত্রী

এক বছরের ব্যবধানে চালের দাম বেড়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ। এর প্রভাব পড়েছে দেশের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার ওপর। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং’ (সানেম) বলেছে চালের দাম বাড়ায় নতুন করে কমপক্ষে সোয়া ৫ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে।

তবে সানেমে এই বক্তব্য সঠিক নয় বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সানেম তিন মাসের টাইম লাইনে এই গবেষণা জরিপটি কললেও মুহিত মনে করেন, এই অল্প সময়ে সামগ্রিক প্রভাব নিয়ে মূল্যায়ন করা যৌক্তিক নয়।

তিনি বলেন, তাৎক্ষণিক এই রিপোর্টের ভিত্তি নেই। এই জন্য কমপক্ষে একটা মৌসুম বা একটা প্রান্তিক দেখা দরকার।

রোববার ২৪ ডিসেম্বর সচিবালয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের পক্ষ থেকে লভ্যাংশ গ্রহণকালে তিনি বলেন, চালের দাম কিছুটা বাড়ুক তা আমরা চেয়েছি। এটা চেয়েছি যেনো কৃষক দাম কিছুটা বেশি পায় সেই আশায়। কিন্তু আমাদের আশার চাইতে দাম একটু বেশিই বেড়েছে। দামটা ৫০ এর উপড়ে গেছে।

মুহিত বলেন, দামটা তুলনামূলক বেশিই বেড়েছে। তার ফলে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়েছে সেটা আমরা স্বীকার করি।

মুহিত বলেন, চাল কিনতে গিয়ে সঞ্চয় খরচ করছেন সাধারণ অনেক মানুষ। সেটা আমাদের অজানা না। আশা করি আর এক মৌসুমের মধ্যেই চালের দাম কমে আসবে।

উল্লেখ, বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং বা সানেম গতকাল এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। মানেম বলেছে, সোয়া পাঁচ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে পড়ে গেছে। আমাদের দারিদ্র্য বিমোচনের যে অগ্রগতি এবং তার যে চিত্র, সেখানে কিন্তু বড় ধরনের একটি ভয়ের কাজ করছে। এটা কোনোভাবেই অর্থনীতির মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি সুস্বাস্থ্যের জন্য সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সানেম প্রতিবেদনে বলা হয়, কর্মসংস্থানহীন প্রবৃদ্ধির কারণে গতি কমেছে দারিদ্র্য বিমোচনের। ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম ও জালিয়াতি নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।

উৎপাদন ঘাটতি এবং আন্তর্জাতিক বাজার ঊর্ধ্বমুখীর এই অবস্থায় আপাতত চালের দাম কমার সম্ভাবনা কম বলেও মনে করে সংস্থাটি। তাই এখনই কার্যকর চালনীতি প্রণয়নের দাবি জানায় তারা।

আজকের বাজার: এলকে/ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭