এলএনজি আমদানিতে কাতারের সঙ্গে চুক্তি বৃহস্পতিবার

কাতার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস- এলএনজি আমদানিতে প্রাথমিক চুক্তি করতে যাচ্ছে সরকার। আগামীকাল বৃহস্পতিবার এই চুক্তি হবে।গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে সরকার দেশটি থেকে বছরে ১.৮ মিলিয়ন টন এলএনজি গ্যাস আমদানি করবে।

সাম্প্রতিক সময়ে কাতারকে ঘিরে মধ্যপ্রাচ্য সংকটের মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে এই চুক্তি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বাসসকে জানিয়েছেন, আগামীকাল সন্ধ্যায় পেট্রোসেন্টারে দরাদাম নিয়ে কাতারের রাষ্ট্র মালিকানাধীন কোম্পানি রাশগ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে বৈঠক নির্ধারিত রয়েছে। তিনি জানান, রাশগ্যাস কোম্পানির প্রতিনিধিরা আগামীকাল ঢাকায় আসবেন। এরপর সন্ধ্যায় তারা বৈঠক করবেন।

এর আগে বিষয়ে বিদ্যুত জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, এলএনজি আমদানির জন্য সরকার শিগগির চুক্তি করবে। তিনি বলেন, চুক্তির বিভিন্ন দিক এর মধ্যে ঠিক করা হয়েছে। এখন কার কাছ থেকে কতটুকু নেয়া হবে তা নির্ধারণ হচ্ছে। সরকার ২০১০ সাল থেকে এলএনজি আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করে। তখন থেকে এলএনজি আমদানির জন্য কাতারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

এ নিয়ে এর আগে কাতারের সঙ্গে একটি এমওইউ সই করে বাংলাদেশ। ওই এমওইউ অনুযায়ী প্রতিদিন কাতার সরকার বাংলাদেশকে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করতে সম্মত হয়। যদিও টার্মিনাল নির্মাণে সময়ক্ষেপণের কারণে এতদিন প্রক্রিয়াটি ঝুলে ছিল। কাতার ইস্যুতে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে বাংলাদেশের এলএনজি আমদানির ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। যেহেতু এককভাবে বাংলাদেশ এলএনজি আমদানির জন্য কাতারের সঙ্গে এমওইউ করেছিল তাই কোন কারণে কাতার ক্ষতিগ্রস্ত হলে বাংলাদেশের সঙ্গে এমওইউ আর রক্ষা করা সম্ভব হতো না।

অন্যদিকে বাংলাদেশের পক্ষে নতুন বাজার থেকে এলএনজি আমদানির প্রক্রিয়া করা কঠিন হতো। সম্ভাব্য এই চুক্তির ফলে এখন সেই শঙ্কা আর থাকছে না।

আজকের বাজার: এলকে/এলকে ৬ জুলাই ২০১৭