কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছে ৪ দেশ

ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইডেন ও সুইজাল্যান্ড বৃহস্পতিবার বলেছে, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও তার আশপাশের অঞ্চলে ‘নিরাপদ ও সুরক্ষিত’ পরিবেশ রজায় রাখা দরকার যাতে এ এলাকায় বসবাসকারী রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণ নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকতে পারেন।

দেশগুলোর মিশন প্রধানরা একটি যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোহিঙ্গাদের ‘স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং টেকসই প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যৌথ প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

তারা বলেন,‘আমরা উদ্বেগের সাথে জানাচ্ছি, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং টেকসই প্রত্যাবাসনের শর্ত এখনো পূরণ হয়নি।’

রাষ্ট্রদূতরা বলেন, মিয়ানমারকে সম্ভাব্য পরিস্থিতি সৃষ্টির পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান ও সমর্থনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত সম্মিলিতভাবে কাজ করা।

বুধবার ও বৃহস্পতিবার কক্সবাজার সফর শেষে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি পিটারসেন, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন, সুইডিশ রাষ্ট্রদূত সার্লোট্টা স্লাইটার ও সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেন হোলেনস্টেইন এই বিবৃতি দিয়েছেন।

‘রোহিঙ্গা শরণার্থী জনগোষ্ঠীকে অব্যাহত মানবিক এবং অন্যান্য সহায়তার জন্য কক্সবাজারের স্থানীয় ও বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টাকে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করছি,’ তারা বলেন।

রাষ্ট্রদূতরা এই সংকট মোকাবিলায় মানবিক সহায়তাকারী সংস্থাগুলোর দুর্দান্ত অবদানেরও প্রশংসা করেন।

রাষ্ট্রদূতরা বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় জনগণ এবং জাতিসংঘ, আইএনজিও এবং এনজিওর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে দৃঢ় সহযোগিতা এই প্রতিক্রিয়ার সাড়া প্রদানে মূল হিসেবে কাজ করেছে।’

কূটনীতিকরা বলেন, কেবল শরণার্থী জনগণের ভোগান্তি দূর করাই নয়, স্থানীয় জনগণকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে কক্সবাজারে মানবিক সাহায্য প্রদানে যুক্ত জাতিসংঘের সংস্থা, এনজিও এবং আইএনজিও ভূয়সি ভূমিকা পালন করছে।

মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালানোর ক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্ন, নিরাপদ এবং সুরক্ষিত পরিবেশে কাজ করার জন্য মানবিক সহায়তাকারী সংস্থাগুলোকে সুযোগ দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের চলমান সহযোগিতাকে অভিবাদন জানিয়েছেন তারা।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা জনগণের নিরাপত্তা, সুরক্ষা এবং মর্যাদার প্রয়োজন বলে মনে করেন রাষ্ট্রদূতরা।

বাংলাদেশে এখন প্রায় ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার শরণার্থী বসবাস করছে যার বেশিরভাগই ২৫ আগস্ট, ২০১৭ এর পর এ দেশে প্রবেশ করেছে। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ