কপ২৫ সম্মেলনে জলবায়ু বিষয়ে ভবিষ্যৎ কর্মকৌশল তুলে ধরা হবে

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উদ্ভূত প্রতিকূলতাকে জয় করে সহনশীল অর্থনীতি হিসেবে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে বাংলাদেশ যেসব ভবিষ্যৎ কর্মকৌশল গ্রহণ করেছে তা আসন্ন মাদ্রিদ জলবায়ু সম্মেলনে তুলে ধরা হবে।

জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের আওতায় ২-১৩ ডিসেম্বর স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত হবে কনফারেন্স অব পার্টিস-এর ২৫তম বার্ষিক অধিবেশন (কপ-২৫)। এতে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ ডিসেম্বর ঢাকা ত্যাগ করবেন।

বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেন, ‘সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা বিশ্ব দরবারে আরও একবার তুলে ধরা সম্ভব হবে, যা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল ও জলবায়ু ঝূঁকিপূর্ণ দেশের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।’

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী ২ ডিসেম্বর স্পেনের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো সানচেজের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং এতে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো যেমন- উন্নয়ন সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, পারস্পরিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয়ে তারা মতবিনিময় করবেন।

প্রধানমন্ত্রী একই দিনে নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সাথে বৈঠক এবং ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ ও অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বৈশ্বিক আলোচনা এবং দেন-দরবারে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে যাচ্ছে।

ড. মোমেন বলেন, টেকসই উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর ধারণাগুলো, ভূমিকা ও অবদান বিশ্ব দরবারে সুপ্রতিষ্ঠিত।

প্রধানমন্ত্রী ২ ডিসেম্বর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সভায় যোগ দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন ও বাংলাদেশের অবস্থান বিষয়ে বক্তব্য দেবেন। তিনি জলবায়ু বিষয়ে বাংলাদেশের নেয়া পদক্ষেপগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি জলবায়ু সংক্রান্ত আলোচনায় ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’-এর প্রতি গুরুত্বারোপ এবং ‘ওয়ারশ ইন্টারন্যাশনাল মেকানিজম’-এর ম্যান্ডেট আরও শক্তিশালী করার মাধ্যমে আর্থিক ক্ষতিপূরণের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য বিশ্ব নেতাদের আহ্বান জানাবেন।

প্রধানমন্ত্রী দেশের উদ্দেশে ৩ ডিসেম্বর মাদ্রিদ ত্যাগ করবেন।

আসন্ন কপ২৫ বার্ষিক জলবায়ু সম্মেলনের আয়োজক হওয়ার কথা ছিল দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলির। কিন্তু চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের প্রভাবের কথা জানিয়ে দেশটি আয়োজক হওয়া থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দেয়।

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন

আজকের বাজার / ফজলুর রহমান